ছাত্রলীগের দাবিকেও পাত্তা দিল না রাবি প্রশাসন
বিড়ম্বনার শিকার শিক্ষার্থীরা
রাবি প্রতিনিধি
|
![]() বাড়তি খরচ, নিরাপত্তার অভাব, চুরি ছিনতাইয়ের ভয়সহ বৈরী পরিবেশে মেসে থেকে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, মেসগুলোর পরিবেশ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে তারা অভিযোগ করেছেন। করোনা বিপর্যয়ে অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার আর্থিক সংকটে আছে। মেসগুলোতে অতিরিক্ত ইন্টারনেট বিল, বিদ্যুৎ বিলসহ বর্ধিত মেস ভাড়ায় বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। এরমধ্যে মেসে থেকে পরীক্ষা দেয়া অনেকের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর এহসান বলেন, ‘পরীক্ষার সময় হল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে হলে প্রত্যেকবার আবেদন করতে হয়। আবার হলের সব জিনিস নামিয়ে আনাও সম্ভব হচ্ছে না। পরীক্ষার সময় হলে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলে সবার জন্য ভালো হতো।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে হল বন্ধ রাখা হচ্ছে সেই সমস্যাটি মেসে আরো প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের হলে থাকার অনুমতি প্রদান করলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হতো। মেসে যা একেবারেই অকল্পনীয়। হলের থেকে মেসের পরিবেশ বেশি হিজিবিজি ও ঘনবসতিপূর্ণ। তাছাড়া তল্পিতল্পা নিয়ে মেসে ওঠা রীতিমতো হয়রানিমূলক।’ এর আগে, পরীক্ষার সময় হল খোলা রাখার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীরা দাবি জানান। একই দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমরা শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আবাসিক হল খুলে দেয়ার জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশঙ্কার বিষয় ছিল হল খুলে দেয়া হলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু মেসে তো এই ঝুঁকি আরও বেশি।’ এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভারপ্রাপ্ত ছাত্রউপদেষ্টা অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘হল খোলার বিষয়ে সরকারী সিদ্ধান্তকেই আমরা মেনে চলছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলাদা করে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে আমরা আশা করছি আগামী মার্চের মধ্যেই হয়তো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্তে আসবে। আমাদেরও সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
|