প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:২২ পিএম (ভিজিট : ১২১)
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দীকি বুধবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এনকেএ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সুলেমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, পাকিস্তানের সর্বোচ্চসংখ্যক উদ্যোক্তা ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’-এর বিটুবি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ডিসিসিআই প্রতিবছরই এ ধরনের আয়োজন করবে। তিনি সার্কভুক্ত আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধিকল্পে উভয় দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের আরও উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রাপ্তিতে বিদ্যমান সব বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি বিষয় ফলে দুদেশের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রিজওয়ান রাহমান বলেন, ডিসিসিআই বিজনেস ইনস্টিটিউট (ডিবিআই) স্থানীয় বাজার ও উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে থাকে, যেখানে পাকিস্তানের তরুণ উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন। তিনি বলেন, কৃষি এবং সমুদ্র অর্থনীতি এ দুই খাতে দুদেশের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি উল্লেখ করেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৪৩.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দুদেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসন এবং দুদেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার ওপর জোরারোপ করেন।
পাকিস্তান দূতাবাসের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দীকি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈশি^ক সূচকগুলোয় বাংলাদেশের অবস্থান বেশ আশাব্যাঞ্জক ফলে বৈশি^ক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সুনাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাকিস্তানও বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে অত্যন্ত আগ্রহী। তিনি উল্লেখ করেন, দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন’ স্থাপন করা হয়েছিল যেটির সর্বশেষ সভা ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয়ভাবে চালুকরণের প্রস্তাব করেন। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে দুদেশের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপন এবং করাচি ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মধ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহন কার্যক্রম দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালুকরণের আহ্বান জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার। পাকিস্তানের ফ্যাশন শিল্প বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে।