নিজস্ব প্রতিবেদকবাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন,কৃষিকাজে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে কাজে লাগানো গেলে পণ্যের মান উন্নত হবে এবং কৃষিপণ্যর ন্যায্যমূল্য নিশ্চত হবে। ভোক্তা নিরাপদ খাদ্যপণ্য পাবে। বাণিজ্য্যমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে
কৃষিভিত্তিক শিল্পে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। শিক্ষিত যুবসমাজ কৃষির দায়িত্ব নিলে দেশ লাভবান হবে। আমাদের দেশে মৌসুমের সময় অনেক কৃষিপণ্য নষ্ট হয়ে যায়, কৃষকরা নামমাত্র মূল্যে এগুলো বিক্রি করতে বাধ্য হয়। দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে সারাবছর ব্যবহার করা যায়। আমাদের দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। এতে করে শিক্ষিত যুবসমাজ কাজ করার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে
কৃষিপণ্যের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদফতর আয়োজিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে যুব উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, দেশের সাড়ে ৫ কোটি যুবককে কাজে লাগাতে হবে। দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে কাজে লাগানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের কৃষিপণ্য প্রসেসিং কাজে দেশের যুবসমাজকে লাগালে দেশ উপকৃত হবে। যুবসমাজকে মানবিক ও নৈতিকতার সঙ্গে গড়ে তোলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং প্রশিক্ষণের ওপর সরকার বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ওই কর্মসূচির আওতায়
কৃষিপণ্য উৎপাদকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, ভোক্তাদের জন্য ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত খাদ্যপণ্যের ব্যবস্থা করার লক্ষে যুবশপ ও এক্সপ্রেস কিচেন এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু এবং যুব ব্র্যান্ডের লোগো উন্মোচন করা হয়ে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেনÑ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন, ফোর্থ আই অ্যাগ্রো ইনোভেশনস অ্যান্ড টেকনোলজিসের চেয়ারম্যান কাজী গোলাম আলী সুমন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমদ বারী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান খান কবির।