রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির ১০নং সড়কের একটি বাসা থেকে দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। দুদক বলছে, পিকে হালদারের মামলার তদন্তে অবন্তিকার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, অবন্তিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার ঢাকার মহানগর স্পেশাল জজ আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, পিকে হালদারের যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ ব্যবসা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানে করতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর অবন্তিকা বড়ালকে দুদকে তলব করা হয়েছিল। তবে ওই সময় তিনি হাজির হননি। অভিযোগ রয়েছে, পিকে হালদার পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের পরপরই তার নাম উঠে আসে। পিকে হালদারের দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতায় এখন পর্যন্ত ৮৩ ব্যক্তির প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।