লালমনিরহাটে দিনে-দুপুরে গণধর্ষণের শিকার তরুনী, ২ ধর্ষক আটক
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
|
![]() এদিকে ঘটনার সাথে সাথেই স্থানীয় টহল পুলিশের নেতৃত্বে থাকা উপ-পরিদর্শকের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় দ্রæত মেয়েটিকে নিরাপদে উদ্ধারের পাশাপাশি দুই ধর্ষককে আটক করা গেছে। ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃতরা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা এলাকার ত্রিপদ রায়ের ছেলে নির্মল(২৮) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের আফজালনগর তিস্তা এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম। তবে গোডাউন মালিক একই এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে রিপন মিয়া পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী রাজারহাট উপজেলার চায়নার বাজার এলাকার এক তরুনীকে ফুসঁলিয়ে তিস্তা সেতু এলাকায় নিয়ে আসেন নির্মল। এরপর ওই এলাকায় রিপনের গোডাউনে নিয়ে তরুনীকে গনধর্ষণ করে। এসময় কৌশলে মেয়েটি গোডাউন থেকে বেরিয়ে তিস্তা সেতু টোলপ্লাজায় দায়িত্বপালন রত পুলিশ সদস্যদের কাছে ছুটে এসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। পরে সেখানে দায়িত্বে থাকা এসআই নুরআলম মেয়েটিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালান রিপনের গোডাউনে। সেখান থেকে নির্মলকে আটক করে তার দেওয়া তথ্যমতে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আটক করেন অপর অভিযুক্ত আতিককে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় হোতা গোডাউন মালিক রিপন মিয়া। টোলপ্লাজা এলাকায় থাকা একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান,‘ মেয়েটি গোডাউন থেকে পালিয়ে আসলেও তাকে ধরার জন্য পেছনে রিপনের লোকজনও চলে আসে।’ এসময় এসআই নুরআলম বুদ্ধিমত্তার সাথে ঘটনাটি মোকাবেলা করেন এবং দুুই ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশ অফিসার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে হয়তো গুম করে ফেলত রিপনের লোকজন। স্থাণীয়রা আরো জানান, রিপন মিয়া তিস্তা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও লাইনম্যান। অবৈধ কারবার করেই সে গেল ৫ বছরে শ্রমিক থেকে কোটিপতি হয়ে গেছে। তিস্তা সেতু দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান পাচারের মাধ্যমেই রিপন হয়ে ওঠে কাচাঁ টাকার মালিক। অভিযোগ রয়েছে কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার সাথেও রয়েছে তার ব্যপক সখ্যতা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এটা নিশ্চিত যে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। |