করোনা রোধে মালয়েশিয়ায় দীর্ঘসময় লকডাউনের কারণে বাংলাদেশে ছুটিতে এসে যেসব প্রবাসীরা আটকা পড়েছেন তাদেরকে পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এক যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশে ছুটিতে এসে আটকে পড়েছেন তাদের পুনরায় ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার অনলাইনে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে যা নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে যে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনাপূর্বক সিদ্ধান্ত হয়েছে তা হলোÑ ক. বর্তমানে বাংলাদেশে ছুটিতে থাকা কর্মীরা মালয়েশিয়ায় ফিরে আসার বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার নীতিগতভাবে সম্মত আছে। এ ক্ষেত্রে কর্মীর নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের পদ্ধতি মেনে ফেরত আনার ব্যবস্থা করবেন। তাই ছুটিতে থাকা কর্মীদের নিজ নিজ নিয়োগকর্তা বা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে; বৈধকরণ (রিক্যালিব্রেশন) প্রক্রিয়ায় অধিকসংখ্যক অবৈধদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। করোনাভাইরাস বাস্তবতার প্রেক্ষিতে চলাচলের সুবিধার্থে বৈধকরণের জন্য দাখিলকৃত আবেদনকারী কর্মীর নামে বিশেষ কার্ড ইস্যু করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে; মালয়েশিয়া সরকার নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কর্মীদের আবাসন নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হয়। এ বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার কাজ করছেন বলে আশ^স্ত করেছেন; এমসিও চলাকালে বাংলাদেশি কর্মীদের বেতন প্রাপ্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে লেবার ডিপার্টমেন্টের পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয় এবং ঙ. মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক করোনাকালীন এবং করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক কর্মকাÐ ব্যাপকভাবে শুরু করার লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়। উল্লেখ্য যে, মালয়েশিয়ায় করোনা রোধে জরুরি অবস্থা ও এমসিও ২.০ লকডাউন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। ১৩-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই লকডাউন বহাল থাকবে। আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির রাজা। এমতাবস্থায় দেশটিতে প্রায় ১২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে।