প্রশাসনিক পদে নিয়োগ চান মাদ্রাসা শিক্ষকরা
শিক্ষার আলো প্রতিবেদন
|
এমপিও
নীতিমালা-২০১৮-এর ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত খসড়া সংশোধনীতে মাদ্রাসার জেনারেল
শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এ বক্তব্য জানিয়ে এর প্রতিবাদে প্রকাশিত
সংশোধনী পুনর্বিবেচনার দাবি তুলে প্রশাসনিক পদে নিয়োগ চেয়েছেন শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন ৫ দফা দাবি তুলেছে।
দাবিগুলো হলোÑ মাদ্রাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮-এর ২৩ নভেম্বর
২০২০ এ প্রকাশিত সংশোধনীতে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
কর্তৃক ২০১০ সালে জারিকৃত পরিপত্র মোতাবেক সব পর্যায়ের মাদ্রাসার প্রশাসনিক
(অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, সহসুপার) পদে নিয়োগে প্রার্থীর শিক্ষাগত
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সংশোধনপূর্বক সবার অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত করতে হবে;
সংশোধনীতে আলিম মাদ্রাসায় নব সৃষ্ট জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করে আলিম
মাদ্রাসাতেও সহকারী অধ্যাপক পদ বহাল রাখা; প্রভাষক (গণিত) পদ বিলুপ্ত করে
বিজ্ঞান শিক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। জনবল
কাঠামোতে প্রভাষক পদ পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; সদ্য প্রকাশিত এ
সংশোধনীতে ৫০ ভাগ প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির প্রস্তাব করা
হয়েছে। ৫০ ভাগ প্রভাষকের পদোন্নতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই চাকরিকাল ৮ বছর
পূর্তিতে সব প্রভাষকের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিসহ পর্যায়ক্রমে সহযোগী
অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুযোগ রাখা এবং ৫. এ ছাড়াও প্রকাশিত
সংশোধনীতে গ্রন্থাগারিক ও সহঃগ্রন্থাগারিক পদে জেনারেল ধারায় শিক্ষিত
প্রার্থীর আবেদনের সুযোগ রাখতে হবে। প্রস্তাবগুলো মাদ্রাসার এমপিওভুক্তির
জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮-এর সদ্য প্রকাশিত সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত
করার জন্য শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর
হস্তক্ষেপ কামনা করেন। |