যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো দল নেই, কোনো ধর্ম নেই। এদেরকে আমরা সমাজে স্থান দিতে পারি না, এরা সমাজের শত্রæ। যারা সমাজকে মাদকের অভয়ারণ্য করতে চায় সবার উচিত তাদেরকে বয়কট করা। তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের খেলাধুলায় অভ্যস্ত করে তুলুন, তারা অপরাধে জড়ানোর সুযোগ পাবে না। খেলাধুলায়
শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে এবং তারা অপরাধপ্রবণতা থেকে মুক্ত থাকে। তিনি শুক্রবার সন্ধায় টঙ্গী টিঅ্যান্ডটি স্কুল মাঠে মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং ও নারীর প্রতি ডিজিটাল ভায়োলেন্স বিরোধী সমাবেশ এবং টঙ্গী মরকুন টিঅ্যান্ডটি বাজার ও নতুন বাজার ডিজিটাল সার্ভিলেন্স সিসি ক্যামেরা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। জাহিদ আহসান আরও বলেন, অভিভাবকদের অসচেতনতা এবং সুস্থ বিনোদন ও খেলাধুলার অভাবেই কিশোররা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। শুধু অভিভাবক নয়; যারা বিভিন্নভাবে সমাজের দায়িত্ব পালন করেন তাদের প্রত্যেককে অভিভাবকের মতো দায়িত্ব নিতে হবে। অন্যের সন্তানকেও নিজের সন্তানের মতো দেখতে হবে। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির পিপিএম। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাদেক আলীর সভাপতিত্বে ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আশ্রাফ-উল ইসলাম পিপিএমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, কাজী মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ, মামুন-অর রশিদ, মো. আসাদুর রহমান কিরণ, মো. মতিউর রহমান মতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক, মো. রজব আলী, মো. হেলাল উদ্দিন হেলাল, কাজী ইলিয়াস, মো. মাজহারুল ইসলাম দীপু, নূর নবী আনসারী নবীন প্রমুখ। জিএমপি খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, আমাদেরকে জয় বাংলার শপথ নিতে হবে। জয় বাংলা দর্শনকে যেন আমরা কর্ম সম্পাদনের সময় স্মরণ রাখি। আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও বিধি-বিধান যদি আমরা নির্ধারণ করতে পারি তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব।