মানিকগঞ্জের আরিচা থেকে পাবনার কাজীরহাট নৌপথে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচল করছে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্পিডবোট। স্পিডবোট চলাচলের অনুমোদন না থাকার পরও ওই রুটে প্রতিদিন স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করা হয়। এতে যেমন বাড়ছে ঝুঁকি, তেমনি যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক অনভিপ্রেত দুর্ঘটনা। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একেকটি বোটে ১৬ থেকে ২০ জন যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে যা ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হলেও সেগুলোর নেই কোনো বয়া বা লাইফ জ্যাকেট। এসব স্পিডবোটের যেমন ফিটনেস সনদ নেই, তেমনি চালকদেরও নেই কোনো লাইসেন্স। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি স্পিডবোটে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা লঞ্চঘাটের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে স্পিডবোট ঘাট। লঞ্চঘাট থেকে অবৈধ স্পিডবোট ঘাটের দূরত্ব সর্বোচ্চ ১০ গজ। আর বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ের দূরত্ব ২০০ মিটারের মতো। প্রতিদিনই অবৈধ এসব স্পিডবোট চলাচল করতে দেখছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো ভূমিকা পালন করছে না তারা। এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কবির হোসেন জানান, স্পিডবোটের ফিটনেস সনদ দেয় সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর। ফিটনেস সনদ দেওয়ার পর রুট পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়। যেহেতু স্পিডবোটগুলোর ফিটনেস সনদ নেই, সেহেতু রুট পারমিট দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। অবৈধ স্পিডবোটের বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
আরিচা ঘাট স্পিডবোট মালিক সমিতির ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বাবু জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রহিম খান স্পিডবোট সমিতির সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস (কুলু কুদ্দুস) সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা জানান, আরিচা কাজীরহাট রুটে স্থানীয় নেতাদের বেশ কয়েকজনের স্পিডবোট রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়ের ঘনিষ্ঠরা সিন্ডিকেট করে এ রুটে অবৈধভাবে স্পিডবোট পরিচালনা করছে।