ভারতের সিরাম ইনস্টিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ২০ লাখ করোনা ভ্যাকসিন বিমানবন্দর থেকে কিভাবে স্থানান্তর করা হবে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে দেশটির হাইকমিশন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ভারতীয় হাইকমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন বহনে কোন ধরনের যানবাহন ব্যবহার হবে তার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে। সেইসঙ্গে বিমানবন্দরের কাছাকাছি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সংরক্ষণের জায়গায় অবশ্যই দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানানো হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার বা আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশে এ ভ্যাকসিন আসার কথা। ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাক-ভ্যান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (জনসংখ্যা-২) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সরকার করোনা মোকাবিলায় জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে জাতীয় ভ্যাকসিন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশকে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ২ মিলিয়ন (২০ লাখ) ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন দেবে। এ ভ্যাকসিনের চালান ভারতের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
বিমানবন্দর থেকে ভ্যাকসিন পরিবহনের যেসব যানবাহন (ট্রাক/ভ্যান) ব্যবহার করা হবে তার বিস্তারিত বিবরণ ভারতীয় হাইকমিশন থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশকে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দেওয়ার বিষয়ে গত সোমবার একটি চিঠি দিয়েছে ভারত সরকার।