ষ নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চাষিদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত পাট ও পাটবীজ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পাট চাষিদের নামে ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে জাল স্বাক্ষর দিয়ে তিনি পাট ও পাটবীজ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ চাষিদের।
অন্যদিকে ২০২১ সালে উপজেলার একশ পাট চাষিকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠ চাষের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষকদের ভুয়া তালিকা তৈরি করে প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পাট চাষিদের জন্য ২ হাজার কেজি বীজ এবং পরিমাণ অনুযায়ী সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম পাট চাষিদের ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে জাল স্বাক্ষর দিয়ে বরাদ্দের সব সার বীজ উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন।
বড়ভিটা ইউনিয়নের পানাতীপাড়া গ্রামের পাট চাষি শ্রী মঙ্গল চন্দ্র রায় বলেন, ২০২০ সালে আমি কোনো পাটবীজ কিংবা এক ছটাক সারও পাইনি।
সরকারি সার ও বীজ বিতরণের মাস্টাররোলে আপনার নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে জানালে তিনি বলেন, আমি কোথাও কোনো স্বাক্ষর করিনি। চাইলে আপনারা আমার স্বাক্ষর নিয়ে দেখতে পারেন।
একই অভিযোগ করেন রণচণ্ডি ইউনিয়নের পাট চাষি একরামুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, মোশফেকুর রহমান নজরুল ইসলাম, কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাজেডুমরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আশরাফ আলী, দুলাল হোসেন, সামছুল হকসহ অনেক পাট চাষি।
জানতে চাইলে উপজেলা পাঠ উন্নয়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজ করলে একটু ভুল ত্রুটি হতে পারে। তা ছাড়া তালিকা দেয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। আপনারা চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের সদস্য এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, পাট অফিস সম্পূর্ণ আলাদা। পাট চাষ এবং সম্প্রসারণের বিষয়টি পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা দেখভাল করেন। তারপরও আমি ওনার সঙ্গে কথা বলে দেখব কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না।
উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা বেগম বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। এ বিষয়ে পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।