ষ চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
চাটমোহর উপজেলায় তিনফসলি কৃষিজমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। যদিও ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’Ñ এমন সরকারি নির্দেশ রয়েছে। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ।
জানা গেছে, এ উপজেলায় তিন ফসলি জমিতে মেশিন দিয়ে ৮-১০ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। দিন-রাত বিরতিহীন পুকুর খনন করে সেই মাটি আবার বিভিন্ন ইটভাঁটায় সরবারহ করা হচ্ছে। কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন এক শ্রেণির প্রভাবশালী পুকুর ব্যবসায়ীরা। চুক্তির আওতায় তাদের ফসলি জমি পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। জমির সেই মাটি প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর-ট্রলি) ৭০০ টাকায় বিভিন্ন ইটভাঁটায় বিক্রি করছে পুকুর ব্যবসায়ীরা। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ফসলি জমি কেটে অবাধে পুকুর কাটা হচ্ছে। এসব ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাঁটাগুলোতে। প্রতিনিয়ত ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করায় একদিকে যেমন মাঠের সৌন্দর্য হারাচ্ছে তেমনি পাশের জমিগুলোতে সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতাÑ এমন ধারণা স্থানীয়দের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অথবা ভেকু দিয়ে ফসলি জমি কটা হচ্ছে। উপজেলার পাশর্^ডাঙ্গা ইউনিয়নের বারকোনা পাইট্যাল বিলে কয়েকদিন ধরে চলছে ফনলি জমি খনন। মহেলা গ্রামের জনৈক মনিরুল ইসলাম এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী জানান। একইভাবে হরিপুর ডিবিগ্রাম, ফৈলজানা ও মূলগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে চলছে ফসলি জমি খনন।
চাটমোহর উপজেলায় ১০টি ইটভাঁটার কোনো প্রকার লাইসেন্স বা পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেই। তারা ইচ্ছামতো ইটভাঁটা চালাচ্ছে। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। প্রশাসনও অবৈধ ইটভাঁটার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈকত ইসলাম জানান, আবাদি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।