বিএলডিএ ও রিহ্যাবের সঙ্গে ড্যাপ নিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রীর বৈঠক
জনঘনত্বের ভিত্তিতে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ড্যাপ
বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ) এবং
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (রিহ্যাব)
প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম
জানান, শহরের কোন অঞ্চলে কত তলা বিল্ডিং হলে মানুষ সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা
পাবে এবং ঢাকা একটি বাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহরে রূপান্তরিত হবে সে
অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা ও স্কুল-কলেজ,
শপিংমল, হেলথ সেন্টার, খেলাধুলার মাঠ, ওয়াটার বডি এবং সবুজায়নসহ অন্যান্য
নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এলাকাভিত্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স,
পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের চার্জ নির্ধারিত হওয়ার
ওপর আবারও গুরুত্ব আরোপ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন,
অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী এবং যাত্রাবাড়ী অথবা ওয়ারীতে বসবাসকারী মানুষ কেন
সমান মূল্য বহন করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই
এলাকাভিত্তিক ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এটি নিয়ে
সমালোচনা হলেও এ বিষয়ে আমাদের একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে। তিনি বলেন,
আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটাই সেটি হচ্ছে ঢাকা নগরীকে বাসযোগ্য, দৃষ্টিনন্দন ও
আধুনিক করে গড়ে তোলা। আর এ জন্যই ড্যাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ
করা হয়েছে। তাই ড্যাপ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চান
মন্ত্রী। |