করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২৪মে থেকে শ্রেণিকক্ষে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ২৪ মে ঈদুল ফিতরের পর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। আর ১৭ মে থেকে ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া হবে। ২৪ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে ওই সাত কলেজে একাধিক বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। সামনে আরও করেয়কটি পরীক্ষা নেওয়ার কথাও রয়েছে। কলেজগুলোতে চলছে টেস্টসহ ইনকোর্স পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সংবাদ সম্মেলনের পর ধুম্রজাল তৈরি হয় সাত কলেজের লাখো শিক্ষার্থীর মাঝে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা দুশ্চিন্তার কতা জানান তারা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার সময়ের আলোকে বলেন, সাত কলেজের পরীক্ষা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে। পরীক্ষা বন্ধের বা বিরত রাখার কোনও নির্দেশনা পায়নি সাত কলেজ। সুতরাং মন্ত্রণালয় থেকে নতুন কোনও ঘোষণা না আসা পর্যন্ত সব আগের মতো চলবে। আর নতুন নির্দেশনা আসলে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মনেই সব পরীক্ষা নিচ্ছি।
এ দিকে ২০১৭-১৮ সেশনের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা ২২ মার্চে শুরু করতে ঢাবিকে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা কলেজের নব নিযুক্ত অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বলেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ও বিসিএস পরীক্ষার কথা চিন্তা করে মাস্টার্স পরীক্ষা একটু পেছানো হচ্ছে। আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়েই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গত বছর ১৭ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের হলে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, ২৪ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কোনও পরীক্ষা হবে না। তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে। করোনার কারণে বয়স অতিক্রম হয়ে যাওয়া কোনও পরীক্ষার্থী যেন এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।