নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এনজেড টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি রফতানিমুখী কারখানার তুলা ও কাপড়ের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে তুলা, কাপড়সহ মেশিনারিজ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বলাইখা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করে এনজেড টেক্সটাইল লিমিডেটের কাপড়ের গোডাউনে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। এ সময় গোডাউনে থাকা শ্রমিকরা আগুন আগুন চিৎকার করে বেরিয়ে পড়ে। এ সময় পুরো টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকদের মাঝে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করে। পরে কারখানার ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকরা আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা আরও বাড়তে থাকে। আগুন ৫০-৬০ ফুট উঁচুতে উঠে যায়। গোডাউনে থাকা তুলা থেকে তৈরি করা কাপড় ও তুলায় আগুন ধরে যায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আশপাশের গ্রামের মানুষের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ডেমরা, কাঞ্চন, আড়াইহাজার ও আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে শুরু করে। কারখানার শ্রমিকরাও আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেন। প্রায় টানা তিন ঘণ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ততক্ষণে গোডাউনে থাকা কাপড়, তুলার পুরো গোডাউন পুড়ে যায়। আগুনের কারণে গোডাউনের বিল্ডিংটিও ড্যামেজ হয়ে গেছে। তবে তুলা ফেটার মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানিয়েছেন।
এনজেড গ্রুপের দায়িত্বরত বেনু আহাম্মেদ বলেন, এনজেড গ্রুপ একটি রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান। এ গ্রুপে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কারখানায় আগুন নেভানোর সকল প্রকার ব্যবস্থা থাকায় এবং সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হওয়ায় কারখানার অন্যান্য সাইটে আগুন ছড়ায়নি।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ডেমরা, কাঞ্চন, আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে সময়মতো আগুন নেভাতে না পারলে আশপাশে আগুন ছড়িয়ে আরও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। আগুনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনের সূত্রপাত এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।