ই-পেপার শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

ভোলায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ
প্রকাশ: সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৭ পিএম  (ভিজিট : ১৬৬)
মো. আফজাল হোসেন ভোলা
ভোলায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত ৭ দিনে প্রায় দেড় হাজার মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার-নার্সরা। বৃষ্টি না হওয়া, লেবু পানি, পচা-বাসি খাবার এবং বেশি গরম খাবারের ফলে ডায়রিয়া প্রবণতা বেশি বলে জানালেন সিভিল সার্জন। এদিকে এই পরিস্থিতে সঙ্কট দেখা দিয়েছে স্যালাইনের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৭ দিন ধরেই ভোলায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ ভোলার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা। করোনার মাঝে এমন পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। এদিকে সেবা না পেয়ে নার্স ও ডাক্তারদের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। শুধু তাই নয় স্যালাইন ও ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের।
ভোলা সদর হাসপাতালে ঢুকতেই চোখে পড়বে মেঝেতে শুয়ে থাকা শত শত মানুষের কষ্টের চিত্র। এরা সকলেই ডায়রিয়ার রোগী। শয্যা না পেয়ে এরা সকলেই হাসপাতালের বারান্দায় থেকে এভাবেই চিকিৎসা নিচ্ছে। পরিস্থিতি কতটা যে ভয়াবহ, তা হাসপাতালের এমন অবস্থা দেখলেই বুঝা যায়।
তবে আক্রান্তদের মধ্যে ভোলা সদর ও বোরহান উদ্দিনের অবস্থা বেশি খারাপ। ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা থেকে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজন মো. ইউসুফ বলেন, স্ত্রী নাজমা বিবিকে ডায়রিয়া থেকে সুস্থ করে বাড়িতে নেওয়ার পরে ছেলে নূরনবী (৯) আক্রান্ত হয়। আবার তাকে নিয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডাক্তার ও নার্সদের সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, ভেদুরিয়া থেকে আসা মো. সবুজ (৩৮)। ছোট বোন ছাহেরা বেগম ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে তাকে নিয়ে রোববার সকালে ভোলা সদরে আসেন তিনি। কোনো ধরনের ওষুধ না পাওয়া এবং স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে সব করতে হচ্ছে বলে জানান মো. সাহাবুদ্দিন (৩০) নামের এক রোগীর স্বজন। দৌলতখানের চরপাতা থেকে আসা সাহাবুদ্দিন বলেন, কোনো ধরনের সেবা দিচ্ছে না হাসপাতালের স্টাফরা।
এদিকে পরিস্থিতি খারাপ তা স্বীকার করে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, সঙ্কট দেখা দিয়েছে স্যালাইনের। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে স্যালাইন চেয়ে বলা হয়েছে। আসা করছেন দ্রুত তা পাওয়া যাবে। তবে রোগী বেশি বলে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানালেন তিনি। এ ছাড়া দীর্যদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া, খাল ও পুকুরের পানি খাওয়া, পচা-বাসি ও অতিমাত্রায় গরম খাবার খাওয়ায় বেশি ডায়রিয়া বলে মন্তব্য করেন সিভিল সার্জন।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close