গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের কালিরখামার গ্রামে এক বিধবা নারী ৬ যুবকের গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে গত সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ওই নির্যাতিত বিধবা নারী এখন গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার ভোরে তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের নিচে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের এক বিধবা নারী (৫৫- কে (রাহেনা বেগম) স্বামীর মৃত্যুর পর একাই বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশী খোরশেদ আলম, খুশু মিয়া, আনারুল ইসলাম, লান্টু মিয়া, ইতি মিয়া ও সাহাব উদ্দিন বিধবা ওই নারীকে বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠক হয়েছিল।

ঘটনার দিন ভোরে ওই ৬ জন যুবক বিধবাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেঁধে পাশ্ববর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের নিচে ধর্ষণ করে। সকালে স্থানীয়রা ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। ওই বিধবা নারী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেলের প্রোগ্রাম অফিসার মো. রুহুল আমিন সরকারের মাধ্যমে সুন্দরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় ওসি আব্দুল্লাহিল জামান ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বুলবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই রাতেই মামলাটি গ্রহণ করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে।

কঞ্চিবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।