প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১, ৬:৪৫ পিএম আপডেট: ০৩.০৬.২০২১ ৬:৪৯ পিএম (ভিজিট : ৪০২)
ভারতে পাচার হওয়ার পর কৌশলে দেশে ফিরে এক কিশোরীর মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় গ্রেফতার তিন পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন- মেহেদি হাসান, মহিউদ্দিন ও আবদুল কাদের।
সম্প্রতি ভারতে গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী ৭৭ দিন পর দেশে ফিরে গত ১ জুন হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলার পর আসামিদেরকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে মেহেদি হাসান ওই কিশোরীসহ এক হাজারের বেশি নারীকে ভারতে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতার অপর দুই আসামি মহিউদ্দিন ও আবদুল কাদের মামলার বাদী ভুক্তভোগীসহ পাঁচশতাধিক নারীকে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি কক্ষে রাখতে সহায়তা করে।
ভুক্তভোগী নারীদের মোটরসাইকেলের মাধ্যমে সীমান্তে মানবপাচারকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন গ্রেফতার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাচারের শিকার কিশোরীর সঙ্গে ২০১৯ সালে হাতিরঝিলে মধুবাগ ব্রিজে টিকটক হৃদয় বাবুর পরিচয় হয়। কখনো টিকটক স্টার বানাতে চেয়ে বা ভালো বেতনের চাকরির অফার দিয়ে কিশোরীকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে হৃদয় বাবু।
এ বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় বাউল লালন শাহ মাজারে আয়োজিত টিকটিক হ্যাংআউটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় এই মানবপাচারকারী চক্রের অন্যান্য সহযোগীর সহায়তায় কৌশলে ওই কিশোরীকে ভারতে পাচার করে হৃদয় বাবু। পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ার পর থেকে পালিয়ে দেশে ফেরা পর্যন্ত তার উপর লোমহর্ষক নির্যাতন চালানো হয়।
/জেড-ও/