ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সামাজিক সুরক্ষা খাতে আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০২১, ১০:০৫ এএম  (ভিজিট : ১৮৯)
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারিতে সাধারণ ছুটি, লকডাউন, উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকার কারণে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ অপ্রতুল হওয়ায় এ খাতে আরও বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। 

রোববার আইসিএমএবির রহুল কুদ্দুস অডিটোরিয়ামে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট আবু বকর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট (দ্বিতীয়) মো. মনিরুল ইসলাম, সচিব কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং কোষাধ্যক্ষ একেএম কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বাজেটের ওপর পেপার উপস্থাপন করেন ফেলো সদস্য মো. শফিকুল আলম।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে এখন ধার করে হলেও যেখানে দেশীয় পণ্য এবং সেবা ব্যবহৃত হয় ওইসব খাতে সরকারি ব্যয় বাড়াতে হবে। মানুষের জীবন ও জীবিকাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ মোট জিডিপির ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে বাস্তবায়ন সক্ষমতাসাপেক্ষে ঘাটতি বাজেটকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যতদিন কোভিড-১৯ মহামারি দেশে থাকবে, ততদিন উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ বাড়বে না, একই সঙ্গে বাড়বে না কর্মসংস্থান। কাজেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের পরিকল্পনামাফিক ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় যেকোনো মূল্যে আনতে হবে। করোনাভাইরাসকে নির্মূল করাটাকে এক নাম্বার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।

সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশের বিদ্যমান ভ্যাট আইন এবং আয়কর আইনে এখনও সামান্য কিছুটা সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে মনে করছে আইসিএমএবি। এ ছাড়া অগ্রিম করের ক্ষেত্রেও কিছুটা যৌক্তিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এক ব্যক্তি কোম্পানির করহার হ্রাস করে ২৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে, যা যৌক্তিক হয়েছে বলে আমরা মনে করি। তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার প্রসঙ্গে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার ৩২.৫০ শতাংশ থেকে ২.৫০ শতাংশ হ্রাস করে ৩০.০০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অভিনন্দনযোগ্য। তবে নতুন প্রস্তাবনায় সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর কর্তনের (যা ন্যূনতম কর হিসাবে বিবেচিত হয়) হার সার্বাধিক ৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে উন্নীত করার কারণে প্রকৃত কর আপতন বৃদ্ধি তথা করহার বিগত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে। প্রকৃত ব্যবসাবান্ধব কর বাস্তবায়ন বিবেচনায় এই যৌক্তিকীকরণ খুব বেশি প্রয়োজন।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের করহার বিষয়ে বলা হয়, বর্তমানে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ওপর করহার (এমএফএস) বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমএফএস কোম্পানিগুলোর করহার ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং তালিকাবহির্ভূত হলে ৪০ শতাংশ কর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো এমএফএস প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সব এমএফএস প্রতিষ্ঠানকেই ৪০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এমএফএস সেবা ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিম্নবিত্তের মানুষই বেশি।

ফলে এই করভার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনে বাধা হয়ে যাবে, যা সামগ্রিক ডিজিটালাইজেশনের জন্যই একটি নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। চলমান কোভিডের সময়ে গ্রাহককে আরও বেশি এমএফএস সেবার প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এই কর বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার করা প্রয়োজন বলে মনে করে আইসিএমএবি।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close