প্রকাশ: রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১, ১০:৫২ পিএম আপডেট: ২৭.০৬.২০২১ ১২:০৮ এএম (ভিজিট : ৮৪২)
আগামীকাল সোমবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বলা হচ্ছে, এবারের লকডাউন আগের চেয়ে কড়া হবে। তবে লকডাউন যতই কড়া হোক গার্মেন্টস কারখানা খোলা রাখতে চান এ খাতের উদ্যোক্তারা। তারা বলেন, অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে গার্মেন্টস কারখানা খোলা রাখার বিকল্প নেই। এ জন্য করোনা থেকে শ্রমিকদের রক্ষা করতে শিল্প মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি আরও কঠোরভাবে মানাসহ করোনা টেস্ট এবং কারখানা মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গ্রামে যেতে চাইবে, এ কারণে গার্মেন্টস খোলা রাখতে হবে। কারখানা চালু রাখার জন্য যেসব কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে, এই কয়দিন তারা হয় কারখানার আশপাশে থাকবে, অথবা কারখানার ভেতরে অবস্থান করবে। আর যাদের পক্ষে কারখানার ভেতরে বা আশপাশে থাকা সম্ভব হবে না, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কারখানা বন্ধ করলে আমরা বিশ্ববাজার হারাব। ক্রেতারা আমাদের দেশ ছেড়ে অন্য বাজারে চলে যাবে। একবার কোনো ক্রেতা চলে গেলে তাকে আবার ফিরিয়ে আনা কঠিন। তা ছাড়া গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ করা হলে দেশের অর্থনীতি থমকে যাবে। এ জন্য জীবন বাঁচিয়ে আমরা জীবিকার রাস্তাও খোলা রাখতে চাই।
এ বিষয়ে বিকেএমইএ’র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় গার্মেন্টস কারখানা খোলা রাখার অনুমতি আমরা পেয়েছি। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি জানিয়েছেন, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প কলকারখানা খোলা থাকবে।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যানবাহন বন্ধ থাকবে এটা মেনেই কারখানা খোলা থাকবে। কীভাবে কারখানা খোলা থাকবে তার একটি রূপরেখা দেন মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, যেসব শ্রমিক বা কর্মকর্তা অথবা দায়িত্বশীল কারখানার দূরে বসবাস করেন, এই কয়দিনের জন্য তারা কারখানার আশপাশে থাকবেন, অথবা কারখানার ভেতরে অবস্থান করবেন। লকডাউন চলাকালে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে সব কারখানার মালিকদের বিষয়টি আজকেই জানিয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, সরকারও চায় কঠোর লকডাউন চলাকালে চলাফেরা বা মুভমেন্ট সঙ্কুচিত করা। জেলা প্রশাসক, পুলিশের এসপি এবং বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সমন্বয়ে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতটা সম্ভব মুভমেন্ট না করে কারখানা সচল রাখব। এ জন্য সরকার যাতে সীমিত কিছু গাড়ি মুভমেন্টের সুযোগ করে দেয় এই অনুরোধ থাকবে সরকারের কাছে। পাশাপাশি মালিকদের আমরা অনুরোধ করব, মিড লেভেল কর্মকর্তাদের এই কয়দিন ফ্যাক্টরির ভেতরে অথবা ফ্যাক্টরির আশপাশে থাকার সুযোগ করে দিতে।