ই-পেপার শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নুসরাতের বিলাসী জীবনের চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রকাশ: বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১, ২:৩০ এএম  (ভিজিট : ২৩৯)
কুমিল্লা শহরে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ঋণ বিভাগে সাকল্যে ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন নুসরাত জাহান তানিয়া। কিন্তু এই সামান্য বেতনে চাকরি করেও তিনি পরিবার নিয়ে কুমিল্লা এবং ঢাকায় থাকেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে, চড়েন দামি গাড়িতে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি মারা যাওয়া ছোট বোন মোসারাত জাহান মুনিয়াকে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে লাখ টাকার দামি ফ্ল্যাট ভাড়া করে দিয়েছিলেন নুসরাত নিজেই। কিন্তু অল্প বেতনে চাকরি করেও নুসরাত আর মুনিয়া বিলাসী জীবনযাপন কীভাবে করতেন? এমন বিলাসিতার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কোথা থেকে আসত? এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খেত ব্যাংকের একাধিক সহকর্মীসহ নুসরাতের আত্মীয়-স্বজনদের মনেও। দুই বোন নুসরাত-মুনিয়ার বিলাসী জীবনযাপনের রহস্য উন্মোচন করতে অনুসন্ধানে নামলে একের পর এক বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য-উপাত্ত।

ব্যাংকে চাকরির আড়ালে নুসরাত নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা দেহব্যবসা। ব্যাংকের ঋণ বিভাগের মার্কেটিং অফিসার হিসেবে অফিসিয়াল কাজের চেয়ে নিজের ফ্ল্যাটের দেহব্যবসার খদ্দের ধরতেই যেন বেশি মনোযোগ ছিল নুসরাতের। ঋণ বিভাগে কাজ করার সুযোগে ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে কৌশলে গড়ে তোলেন গভীর সম্পর্ক। আর সেই সম্পর্কের মাধ্যমেই দেহব্যবসার খদ্দের জোগাড় করতেই ব্যতিব্যস্ত থাকেন নুসরাত। ঢাকা এবং কুমিল্লার একাধিক ফ্ল্যাটে ওইসব খদ্দের আনন্দফুর্তি করতেন। আর নুসরাতের ওই রঙমহলের প্রধান আকর্ষণ ছিল তারই সুন্দরী ছোট বোন মুনিয়া। তার একাধিক সহকর্মী এবং বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনও নুসরাতের এমন অনৈতিক বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকারও করেছেন। তারা বলছেন, এই নুসরাতের কারণে ব্যাংকের সুনাম নষ্ট হচ্ছে, কিশোরী মেয়েরা প্রলোভনে পড়ে খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আর অনেক নারীর সুখের সংসার ভেঙে চুরমার হচ্ছে। দেশের গোয়েন্দা পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করলেই ব্যাংকে চাকরির আড়ালে নুসরাতের অন্ধকার জগতের তথ্যপ্রমাণ বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তারা।

খুলনা বিভাগের বাসিন্দা কুমিল্লায় নুসরাতের সঙ্গে কাজ করছেন ব্যাংকের এমন একজন সহকর্মী বলেন, বিভিন্ন কমিশনসহ সাকল্যে ২৫ হাজার টাকা বেতন পাই। সেই টাকায় বাড়িভাড়া দিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমার চলতে খুবই কষ্ট হয়। কিন্তু নুসরাত একই বেতনে চাকরি করলেও থাকেন বিলাসী ফ্ল্যাটে আর চড়েন দামি গাড়িতে। এই রহস্য নিয়ে অফিসে কানাঘুষা চললেও কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পায়। কারণ এই নুসরাতের পেছনেই আছেন হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।

আরেক সহকর্মী বলেন, নামেমাত্র চাকরি করলেও তিনি ব্যাংকের ক্লায়েন্টকে নানা কায়দায় আকৃষ্ট করে ভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন। সোজা কথায় বললে, এখান থেকে খদ্দের নিয়ে খারাপ কাজ করছেন, মোটা অঙ্কের টাকা কামাচ্ছেন। সেই টাকায় দামি বাড়ি আর গাড়িতে চড়েন। ব্যাংকের ওপর মহলও হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর ভয়ে কিছু বলে না। কারণ শারুন চৌধুরীর সঙ্গে নুসরাত ও মুনিয়ার গভীর সম্পর্ক ছিল, মুনিয়ার ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াত ছিল শারুনের। মুনিয়ার মৃত্যুর পর নুসরাতের দেহব্যবসার কাজ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারও শুরু হয়েছে।

এদিকে নুসরাতের একজন কাজিন বলেন, দেখুন আমাদের এটা নিয়ে খুবই লজ্জায় পড়তে হয়। নিজের আপন ভাই সবুজের সঙ্গেও নুসরাতের সম্পর্ক ভালো নেই কেন? সেটা খোঁজ নিয়ে একটু দেখুন। বিশেষ করে নুসরাতের লোভের কারণেই ছোট বোন মুনিয়াকে খারাপ পথে নামিয়েছেন নুসরাত। মুনিয়াকে টাকার মেশিন হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন।
এই নুসরাতের কারণেই মুনিয়া মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন স্বজনরা। তারা বলছেন, নুসরাত এবং হুইপপুত্র শারুনকে পুলিশি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসল তথ্য-উপাত্ত বেরিয়ে আসবে। এদের কারণেই অনেক নিরীহ মেয়ে সমাজে প্রতারিত হয়ে দেহব্যবসায় জড়াচ্ছে।

/জেডও/




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close