প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১, ১১:১৮ পিএম (ভিজিট : ৩২৯)
কোরবানির ঈদের পর দেখা যায়, এলাকায় এলাকায় ঘুরে ঘুরে পশুর হাড়-চর্বি ইত্যাদি কেনাবেচা হয়। যিনি কোরবানি করবেন তিনি তার পশুর কিছু বিক্রি করতে পারবেন না। তবে কোরবানির মাংস কাউকে দান করা হলে পরে এই মাংসের মালিক আর কোরবানিদাতা নয়। যাকে দেওয়া হলো তিনি মালিক। মালিক হিসেবে এই মাংস তিনি যা খুশি করতে পারবেন।
কোনো দরিদ্র ব্যক্তি হয়তো ১০-১৫ কেজি মাংস দান হিসেবে পেলেন, তিনি তো একসঙ্গে সেই মাংস রান্না করতে পারবেন না। অথবা তার সংরক্ষণের ব্যবস্থা নাও থাকতে পারে। আবার শুধু মাংস নয়, তার মসলা, চাল, ডালও লাগবে। সেক্ষেত্রে মাংস বিক্রি করে সে হয়তো সেই জিনিসপত্র সংগ্রহ করবে। তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মাংস সংগ্রহ করা অনুচিত কাজ। আর কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রি করা জায়েজ। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কোরবানিদাতার জন্য নিজ কোরবানির কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনেশুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। (ইলাউস সুনান : ১৭/২৫৯; বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২২৫; কাজিখান : ৩/৩৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১)