মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্দী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগের দুইদিন পর আজ মামলা হয়েছে। ধষর্ণের চেষ্টাকারী আব্দুল আলীকে প্রধান করে সালিশকারীদের মধ্যে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলা।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে আব্দুল আলীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভুষন রায়।
তিনি বলেন, পুলিশি অভিযানে আব্দুল আলীকে আটক করা হয়েছে। আমরা তাকে থানায় এনেছি। ভিকটিম বাদি হয়ে মামলা করেছে।
সালিশকারী সোহেল আহমেদ তৈয়ব বলেন, অভিযুক্ত আব্দুল আলী চারটি বিয়ে করেন। গতকাল থেকেই আব্দুল আলীকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু ট্রেস করতে পারেনি। আমরাও সালিশকারীদের মাধ্যমে তাকে খুঁজতে শুরু করি। আজ বিকেলে এক তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা নেই। এলাকায় মানুষের বাড়িতে কাজ করে মা-মেয়ে দিনানিপাত করেন। মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত রোববার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল আলী (৪০) জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে সালিশ বৈঠক বসে ইউপি সদস্যার নেতৃত্বে স্থানীয় সুমনের মালিকানাধীন দোকানে। একই রাতে সবার সম্মতিতে স্থানীয় গণ্যমান্য কয়েকজনকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার অনুরোধ করলে মীমাংসা করে দিয়েছিলেন সালিশকারীরা। এ সময় অভিযুক্ত আব্দুল আলীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাথে সাদা কাগজে ১০০ টাকার স্টাম্পে মেয়েটির ও বিচারকারীদের স্বাক্ষর রাখা হয়।
/আরএ/