ই-পেপার বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিরল উল্লুক বাঁচাতে উদ্যোগ
প্রকাশ: শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১, ৯:১৩ পিএম  (ভিজিট : ৬২০)
মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মধ্যে মহাবিপন্ন উল্লুকের নামও আছে। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী রয়েছে রেল ও সড়কপথ। ঝুঁকিপূর্ণ এ দুটি পথে প্রতিবছর যানবাহন ও ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাচ্ছে অসংখ্য বন্যপ্রাণী। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকসহ বন্যপ্রাণীর চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সম্প্রতি পাঁচটি স্থানে দড়ি টানানো হয়েছে যেন সহজে ও ঝুঁকি ছাড়াই বনের ভেতর খাদ্য সংগ্রহের জন্য বেড়াতে পারে।

এ অবস্থা বিবেচনায় লাউয়াছড়া বনের ভেতর উল্লুকসহ অন্যান্য প্রাণীর চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পাঁচটি স্থানে দড়ি টানানো হয়েছে। উদ্যানকে দ্বিখণ্ডিত করে চলে যাওয়া সড়ক ও রেলপথের দুপাশের গাছের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এই দড়িটানা। সড়কের দুপাশের উঁচু দুটি গাছের ডালপালার সঙ্গে নাইলনের মোটা রশি টানানো হয়েছে। এগুলোর দূরত্ব ২২ থেকে ২৫ মিটার।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুন নাহারের নেতৃত্বে ছয়জনের গবেষক দল এই কাজ করে। তাদের সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে ছিলেন আরও তিনজন। তিনি বলেন, বন অধিদফতরের অর্থায়নে তারা বনের ভেতরের রেললাইনের ওপর চারটি এবং সড়কপথে একটি দড়ির সংযোগ স্থাপন করেন। ২ থেকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল যৌথভাবে দড়ি টানানোর কাজ করে। এগুলো মূলত ১০ সেন্টিমিটার ব্যাসের দড়ি। এই দড়ির সংযোগ কতটুকু কাজে লাগবে তা জানতে বসানো হয়েছে ক্যামেরাও।

বন্যপ্রাণীর চলাচলের সুবিধার্থে ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ক্যানোপি ব্রিজ রয়েছে। তবে এমন দড়ি ধরে চলাচলে অভ্যস্ত হতে বন্যপ্রাণীর কয়েক মাস সময় লাগে বলে গবেষক দলের সদস্যদের ধারণা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য তোফাজ্জল সোহেল বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর সড়ক ও রেলপথের বিভিন্ন স্থান অনেক প্রশস্ত। এতে অনেক প্রাণী একপাশের গাছ থেকে অন্যপাশের গাছে লাফ দিয়ে যেতে পারে না। কিছু প্রাণী নিচে নেমে সড়ক ও রেলপথ পাড়ি দেয়। এভাবে পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক প্রাণী মারা যায়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, সড়কে চিত্রা হরিণ, বানর, মেছো বিড়াল, মুখপোড়া হনুমান, চিতা বিড়াল, সাপ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন প্রাণীর মৃত্যু হয়। করোনার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এই সময়ে রেললাইনে বন্যপ্রাণী কাটা পড়ার ঘটনা নেই। সড়কপথেও যান চলাচল কম ছিল।

তিনি আরও বলেন, দড়ির সংযোগগুলো লাউয়াছড়া বনের বানরজাতীয় প্রাণী, বিশেষ করে উল্লুকের জন্য খুবই উপকারী হবে বলে আমরা আশা করছি। এক মাস পরপর ক্যামেরা দেখে বন্যপ্রাণীর চলাচলের বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া যাবে।

/জেডও/




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close