ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

কারাগারে খালেদাকে স্লো-পয়জনিং দেওয়া হয়েছে কী না প্রশ্ন ফখরুলের
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১, ২:২০ পিএম আপডেট: ২৫.১১.২০২১ ২:২৮ পিএম  (ভিজিট : ২৬৫)
কারাগারে থাকা অবস্থায় দলের চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে স্লো-পয়জনিং করা হয়েছিল কী না জানতে চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি প্রশ্ন এ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, বন্দি থাকা অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়ার কি কোন স্লো-পয়জনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল? আমরা এটা পরিষ্কার করে জানতে চাই। এদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। যারা জোর করে আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে থাকতে পারে, যারা অবলীলায় ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পারে, অবলীলায় গণতন্ত্রের কর্মীদের গুলি করে হত্যা করতে পারে, তাদেরকে পঙ্গু করে দিতে পারে, যারা আমাদের ৫০০ নেতাকর্মীকে গুম করে দিতে পারে- তাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মন্ত্রীরা চাইলেও একজনের কারণে বিদেশ যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া। মন্ত্রীরা বলছেন, জনগণ বলছে, সবাই বলছে, বিদেশি চাপ আছে। কিন্তু তিনি কারো কথা শুনছেন না। শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে তিনি কারো কথা শুনছেন না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতটাই অসুস্থ যে তাকে দেশে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শুধু নয়, তাকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, পরিত্যক্ত কারাগারে রেখে খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। হাসপাতালে রেখেও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় আজ দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গণতন্ত্রের সভায় বাংলাদেশের নাম না থাকায় প্রমাণ হয়েছে যে দেশে গণতন্ত্র নেই।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লক্ষ লক্ষ পুলিশ নিয়োগ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই পুলিশদের নিয়োগ করা হয় দলীয় ভিত্তিতে এবং কনস্টেবলদের জন্য কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এখন সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরমভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু একটা জায়গায় তারা ব্যর্থ হয় নাই। গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন, আমাদের বেঁচে থাকার যে আন্দোলন, বিরোধী দলের যে আন্দোলন, ভোট দেওয়ার জন্য যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন দমন করতে তারা সিদ্ধহস্ত।

বক্তব্য রাখার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার আহ্বান জানান কর্মীরা। এতে মির্জা ফখরুল কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কৌশলগতভাবে কর্মসূচি পালন করতে হবে। সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু'র সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, কামাল আনোয়ার আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

/জেডও/




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close