ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রিজিকের নিয়ন্ত্রক কে?
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:২৪ এএম  (ভিজিট : ২৯৪)
পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর রিজিকের প্রকৃত মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। একজন মানুষ এক বছরে কত টাকা আয় করবে, কোন খাবার কতটুকু খাবে, সবকিছুই এক আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। যতটুকু আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন, ততটুকুই কেবল মানুষ ভোগ করতে পারে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ অসংখ্য জায়গায় স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন, কেবল তিনিই রিজিকের মালিক- ‘আল্লাহ তার বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা তার রিজিক বর্ধিত করেন এবং যার জন্য ইচ্ছা তা সীমিত করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সম্যক অবগত।’ (সুরা আনকাবুত: ৬২)। আরও বলেন, ‘তারা কি লক্ষ করে না যে, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা তার রিজিক প্রশস্ত করেন অথবা তা সীমিত করেন? এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য!’ (সুরা রুম : ৩৭)

কিছু প্রাণী আছে যারা খাদ্য মজুদ করে না। প্রতিদিনই খাবার সংগ্রহ করে খায়। এসব প্রাণীর রিজিকের দায়িত্বও আল্লাহর, তিনি এদের না খাইয়ে রাখেন না। এ প্রসঙ্গে সুরা আনকাবুতে বলা হয়েছে, এমন কত জীবজন্তু আছে যারা নিজেদের খাদ্যে মজুদ রাখে না; আল্লাহই রিজিক দান করেন তাদের ও তোমাদের এবং তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ। (সুরা আনকাবুত : ৬০)। আল্লাহ যদি কারও রিজিক বন্ধ করে দেন, তবে তা চালু করার শক্তি কারও নেই। আল্লাহ বলেন, ‘এমন কে আছে যে তোমাদের রিজিক দান করবে, যদি তিনি রিজিক বন্ধ করে দেন? বস্তুত তারা অবাধ্যতা ও সত্য বিমুখতায় অবিচল রয়েছে।’ (সুরা মুলক : ২১)। আল্লাহর দেওয়া রিজিক থেকে আল্লাহর পথে ব্যয় করলে প্রতিদান আছে। প্রতিদান দেবেন আল্লাহপাক। ‘বলো, আমার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা তার রিজিক বর্ধিত করেন অথবা ওটা সীমিত করেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার প্রতিদান দেবেন। তিনি শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।’ (সুরা সাবা : ৩৬)। 

পাখির কথাই ধরা যাক। তার খাবার মজুদের গুদাম নেই। সকালে ক্ষুধা পেটে বের হয়। বিকাল বেলা কিন্তু ভরা পেটেই ঘরে ফিরে। হাদিস শরিফে এসেছে, যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালার ওপর সঠিক ও যথাযথভাবে ভরসা করো, তাহলে তিনি তোমাদের পাখির মতো জীবিকা দান করবেন, ক্ষুধার্ত অবস্থায় সবাই বের হয়ে পেট ভরে বাসায় ফিরবে।’ (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি)। আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘তারা কি লক্ষ করে না তাদের ওপরে পাখিগুলোর প্রতি যারা ডানা বিস্তার করে ও সঙ্কুচিত করে? দয়াময় আল্লাহই তাদের স্থির রাখেন। তিনি সর্ব বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।’ (সুরা মুলক : ১৯)। 

রিজিকের জন্য মানুষের কাছে মাথানত করা যাবে না। সৎ থেকে কাজ করতে হবে। ভরসা করতে হবে আল্লাহর ওপর। মনে প্রাণে বিশ্বাস থাকা দরকার। রিজিক আল্লাহই বাড়িয়ে দেবেন। অন্যদিকে কাজ না করে হাত গুটিয়ে থাকলেও হবে না। রিজিক তো আর এমনি এমনি বৃদ্ধি পেতে পারে না। হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন জীবিকার সন্ধান না করে বসে বসে এ কথা না বলে, হে আল্লাহ আমাকে রিজিক দাও, কারণ তোমরা জানো আকাশ কখনও স্বর্ণ বর্ষণ করে না। বস ততটুকুই বেতন বৃদ্ধি করতে পারবেন, যতটুকু আপনার জন্য আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন। তাই মানুষের অতিরিক্ত চাটুকারিতা করা অনুচিত।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close