এত খাবার আনো কেন, পুত্রবধূকে খালেদা জিয়ার প্রশ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা কারণে খালেদা জিয়ার মুখের রুচি কমে গেছে। তাই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) বেডে শুয়ে খালেদা জিয়া পুত্রবধূ শর্মিলাকে বলেন ‘এত খাবার আনো কেন? আমি তো কিছুই খেতে পারি না’। শ্বাশুড়ির কাছে পুত্রবধূ জানতে চান ‘মা আপনার কেমন লাগে? কি খেতে ভালো লাগে। জোর করে হলেও তো কিছু খেতে হবে। আপনার জন্য সবাই দোয়া করছেন’। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) পুত্রবধূ ও শাশুড়ির মধ্যে এমন কথোপকথন জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের একজন সদস্য সময়ের আলোকে বলেন, ‘ম্যাডামের আত্মবিশ্বাস ও মনোবল দৃঢ় আছে। আমরা মাঝেমধ্যে বিচলিত হয়ে পড়লেও তিনি ঠিক থাকেন। সবার কাছে দোয়া চান। আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী প্রতিদিন হাসপাতালে খাবার নিয়ে আসেন। তবে তিনি হাসপাতালে থাকেন না। মাকে খাইয়ে দিয়ে আবার চলে যান’। বোর্ডের আরেকজন সদস্য জানান, এন্টিবায়োটিক চালিয়ে যাওয়ার কারণে খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ কমে আসছে। এই অবস্থা ধরে রাখতে পারলে এই সপ্তাহের মধ্যে কেবিনে নেওয়া সম্ভব। তবে আশঙ্কার কথা হলো যেকোন সময় তা বেড়ে যেতে পারে। এজন্যই ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। স্বস্তির খবর হলো- ইলেকট্রোরাল ব্যালেন্স এসেছে। অর্থাৎ শরীরে খনিজের সমতা বিরাজমান। এটি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে আবোলতাবোল করেন খালেদা জিয়া। শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। ইনসুলিন দিয়ে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। বর্তমানে রক্তের হিমোগ্লোবিন ৮.৫০ আছে। তবে ম্যাডামের মুখ শুকনো, চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ। কথা খুব আস্তেধীরে কম বলেন। জোর করে খাওয়ানো লাগছে। জানা গেছে, গতকালও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের একাধিক রুটিন টেস্ট করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, যত দ্রুত তাকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়া যায় ততই মঙ্গল। নইলে ঝুঁকি বাড়বে।
|