আলোকস্বল্পতার মাঝে তাইজুল ঝলক
রাজু আহাম্মেদ
|
![]() চট্টগ্রামে টাইগারদের হারের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠা পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি আর আব্দুল্লাহ শফিক এদিনও শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্তভাবে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর সাবলীল খেলে ৫৯ রানের দারুণ জুটি গড়ে তোলেন তারা, অনায়াসেই কাটিয়ে দেন প্রথম ঘণ্টা। এরপরই অবশ্য তাইজুল ঝলক। দারুণ এক ডেলিভারিতে শফিককে (২৫) বোল্ড করেন এই বাঁহাতি। খানিক পর তিনি বোল্ড করেন ৩৯ রান করা আবিদকেও। তার এমন বোলিংয়েই দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। স্বস্তি নিয়েই যায় মধ্যহ্নভোজের বিরতিতে। বিরতির পর অবশ্য সেই স্বস্তি উবে গেছে। অভিজ্ঞ আজহার আলি আর অধিনায়ক বাবর আজমের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে উল্টো বাড়তে থাকে অস্বস্তি। ভরদুপুরের এক পসলা বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতায় শেষ সেশনে খেলা না হওয়া অস্বস্তিটা বাড়াল নাকি কমাল, তা অবশ্য বড় প্রশ্ন হয়েই থাকল আসছে কয়েকটি দিনের জন্য। প্রশ্ন হয়ে থাকল স্যাঁতসেঁতে কন্ডিশনেও পেসারদের ঠিকমতো বোলিং না করানোর বিষয়টাও। বৃষ্টির কারণে মধ্যাহ্নভোজের পর ২৫ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। এরপর যখন খেলা শুরু হয়, অবিশ্বাস্যভাবে দুই প্রান্তেই আক্রমণে দেখা গেল দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজকে। অধিনায়ক মুমিনুল হক যেন ভুলেই গিয়েছিলেন, তার দলে দুই পেসার ইবাদত হোসেন আর খালেদ আহমেদও আছেন। আজহার আর বাবর কিছুটা চড়াও হয়ে ব্যাট চালানোয় ইবাদতকে বোলিংয়ে আনলেন মুমিনুল, কিন্তু প্রায় আড়াই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা খালেদ সকালে ৪ ওভার করার পর আর বলই হাতে পেলেন না! এভাবে যদি উপেক্ষাই করা হবে, তাহলে দুজন পেসার নিয়ে মাঠে নামাই বা কেন? যদিও বোলিংয়ে উপেক্ষিত খালেদ ফিল্ডিংয়ে ছিলেন বেশ তৎপর। মিডঅফ থেকে ছুটে গিয়ে ক্যাচ নেওয়ার জন্য লংঅফে যেভাবে ঝাঁপিয়েছিলেন, বলটা তিনি তালুবন্দি করতে পারলে তা দুর্দান্তই হতো। তাহলে অন্তত দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত থাকা হতো না বাবরের। সাকিবের শিকার হয়ে ৩৯ রানেই সাজঘরে ফিরে যেতেন পাকিস্তান দলপতি। বাংলাদেশে এসে বলতে গেলে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন বাবর। তিন ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর চট্টগ্রাম টেস্টেও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। ঢাকায় ফিরে অবশেষে ক্যারিয়ারের ১৯তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সেটিকে ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার অপেক্ষায় এই ডানহাতি। ভালো কিছুর আশা নিয়ে অপেক্ষায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকা আজহারও। বাংলাদেশ অপেক্ষায় তাদের ৯১ রানের জুটিটা আজ যত দ্রæত সম্ভব ভেঙে দেওয়ার। তা না হলে যে আলোকস্বল্পতায় ধূসর হয়ে যাবে লড়াইয়ে ফেরার আশা। সংক্ষিপ্ত স্কোর পাকিস্তান : প্রথম ইনিংসে ৫৭ ওভারে ১৬১/২ (আবিদ ৩৯, শফিক ২৫, আজহার ৩৬*, বাবর ৬০*; তাইজুল ২/৪৯)
|