প্রকাশ: সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৫৪ পিএম (ভিজিট : ১৯২১)
চুলের যত্নের জন্য ভালোভাবে তা আঁচড়ানো জরুরি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমাদের মধ্যে অধিকাংশই ঠিকমতো চুল আঁচড়াতে পারেন না। চুল আঁচড়ানোর উদ্দেশ্য শুধু জট ছাড়ানো নয়। আঁচড়ানোর আরও অনেক ভালো ফল আছে। চিরুনির স্পর্শে স্ক্যাল্পের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে স্বাভাবিক তেল। ফলে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় তেল জমে থেকে চটচটে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া আঁচড়ানোর ফলে সেবাশিয়াস গ্ল্যান্ড উজ্জীবিত হয়। দৈনিক চুল পড়ার হার কমে যায়। সঠিক নিয়ম চুল আঁচড়ানো হলে মাথার ব্যায়াম হয়।
চুল আঁচড়ানোর সঠিক পদ্ধতি প্রথম ধাপ হলো মাথা নিচু করে সব চুল সামনে আনতে হবে। তারপর ঘাড় থেকে আঁচড়ানো শুরু করে সামনে চুলের ডগা পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। এবার আবার চুল পেছনে ফেলে কপাল থেকে শুরু করে আঁচড়াতে হবে শেষভাগ পর্যন্ত।
সারা দিনে কতবার চুল আঁচড়াতে হবে তা নির্ভর করে চুলের ধরন ও দৈর্ঘ্যরে ওপর। চুল সোজা বা ঢেউখেলানো হলে দিনে দুবার আঁচড়ালেই হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে ভালো করে চিরুনি চালাতে হবে।
চুল যদি খুব লম্বা বা শুকনো হয় তা হলে দিনে তিনবার চুল আঁচড়াতে হবে। বেশি সময়ে চুল বেঁধে রাখতে হবে; তা হলে বজায় থাকবে চুলের স্বাভাবিক তেল।
চুল যদি খুব কোঁকড়া বা তেলতেলে হয় তা হলে দিনে একবার আঁচড়ালে হবে। সব সময় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। তা হলে জট দ্রুত মুক্ত হবে। চুল বেশি উঠবেও না। ভেজা চুলে কখনও চিরুনি দেওয়া উচিত না। সে সময় চুল নরম থাকে। তাই সহজে চুল ভেঙে যায়। গোসলের সময় চওড়া দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভেজা চুলের কন্ডিশনার মাখিয়ে নিন। তা হলে শুকনো চুলেও জট ছাড়াতে সুবিধে হবে।