প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 423
শিশুকে খাওয়াতে অনেক সময় মায়ের চোখের ঘুম গায়েব হয়ে যায়। এটা খাবে না, তো ওটা খাবে না ইত্যাদি বায়নায় মেতে ওঠে। আর কেউ কেউ তো আবার খাবার খেতে হবে শুনে কান্না শুরু দেয়। বিন্দুমাত্র খিদে না থাকা কিন্তু আপনার শিশুর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। শিশুদের দৈহিক বিকাশ যেমন হবে না, বুদ্ধিতেও পিছিয়ে পড়বে। তাই সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে সঠিকভাবে খাবার খাওয়া খুব প্রয়োজন। অবশ্যই শিশুর খিদে বাড়ানো দরকার। শিশুদের বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শেখার সুযোগ থাকে বেশি। কোনো কিছু দেখে শিখে নেওয়ার মতো ক্ষমতা থাকে। কিন্তু প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন, মিনারেলস এবং অন্যান্য নিউট্রিশন যদি শরীরে না যায় তা হলে শিশুরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় পিছিয়ে পড়বে। নানা কারণে শিশুর খিদের ইচ্ছে চলে যেতে পারে, সেটি বুঝতে হবে। তবে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বেশ কিছু টিপস মেনে চললে শিশুর বেড়ে ওঠার পথে আর যাই হোক, খাবার অন্তত বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
শিশুর খাবার নিয়ে যে সতর্কতা দরকার
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আগে শিশুকে এক গ্লাস পানি পান করান। শুরুতে মিষ্টিজাতীয় খাবার, ভাজা খাবার এমনকি দুধ খেতে দেবেন না। এ ছাড়াও দুপুর এবং রাতে খাবার খাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে পানি খাওয়ান, এর মাঝে আর নয়। দুপুরবেলা খাওয়ার পর এক কুঁচি আদা এবং অল্প একটু লবণ মিশিয়ে চিবিয়ে কিংবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো অভ্যাস করান। এতে হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং খিদে পাবে। খাবার খাওয়ার সময় শিশুর সামনে কঠিন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না। এমন কিছু বলবেন না যাতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়তে থাকে। জোরে কথা বলা কিংবা ঝামেলা এগুলো দূরে রাখবেন। অনেকে খাবার খাওয়ানোর কৌশল হিসেবে ভয় দেখান, এতে শিশুর মানসিক ক্ষতি হতে পারে।
নির্দিষ্ট একটি সময়ে শিশুকে খাবার খাওয়ান। এতে সময়ের গুরুত্ব এবং শরীরের পুষ্টি সব ঠিক থাকে। দেখা যাবে ওই নির্দিষ্ট সময়েই তার খিদে পাচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে শিশুর খাবার খাওয়ালে খিদার সময়ের হেরফের হয়। এতে তার খেতেও সমস্যা হয়।
যারা বসে একেবারে খাবার খেতে চায় না, তাদের এক থেকে দুই ঘণ্টা পরপর হালকা খাবার দিতে হবে এবং আসতে ধীরে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এভাবে শিশুকে সবরকম সাহায্য করুন। নিয়মের মধ্যে তাকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন।