ই-পেপার বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩
বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩

মেহেরপুরে ভুয়া ডাক্তারের অপচিকিৎসা
মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৪৮ এএম  (ভিজিট : ১৬৫৭)
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে নিবন্ধনবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নাক, কান, গলা রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে বিজ্ঞাপন দিয়ে রোগীদের সঙ্গে নিয়মিত প্রতারণা করেছেন ডা. নুরুন নবী ছামাদ এ্যানি। বিনা অপারেশনে অর্শ, নাকের পলিপাস চিকিৎসা ও ফিজিও থেরাপির নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন বড় অঙ্কের অর্থ। এমনকি চিকিৎসা নেওয়ার পর একই সমস্যা বড় আকার ধারণ করছে। এ ছাড়াও নতুন নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

সরেজমিনে জানা যায়, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্ত এলাকা আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে অবস্থিত হওয়ায় এসএফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতারিত হয়েছেন হাজারো রোগী। ইতঃপূর্বে তার নিজ গ্রাম গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামে অবৈধ ওষুধ বিক্রয়ের অপরাধে গ্রামের লোকজন তাকে গ্রামে চিকিৎসা করা বন্ধ করে দেন। এ ছাড়া অশ্ব পায়ুপথের রোগ তাই অনেকেই গোপনে চিকিৎসা নেন। এরই সুযোগ নিয়েছেন নুরুন নবী। নিয়মিত ওষুধ সেবন করে মানুষ প্রতিনিয়ত আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিপিটি সার্টিফিকেট না থাকলেও ফিজিও থেরাপি দিচ্ছে। কিন্তু প্রতারণা করে মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলা এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। তাই গ্রামের সাধারণ ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করারও সাহস করে না। এ ছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাইনবোর্ডের আড়ালে মাদক সেবন ও বিক্রির গুঞ্জনও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নুরুন নবী ছামাদ এ্যানি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাংনী উপজেলার বাদিয়াপাড়া গ্রামের পাইলস রোগী বলেন, আমার পাইলসের সমস্যা নিয়ে হাটবোয়ালিয়া বাজারের এসএফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডা. নুরুন নবীর কাছে গেলে তিনি ওষুধ দিয়ে অপারেশন ছাড়াই চিকিৎসার কথা বলেন। আমিও তার কাছে চিকিৎসা নিয়েছি কিন্তু সমস্যা ঠিক হয়নি বরং বেড়েছে। আমতৈল গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, পাইলসের জন্য চিকিৎসা নিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। প্রথমে কিছুদিন ভালো ছিলাম তারপর আবারও একই সমস্যা। ভোলাডাঙ্গা গ্রামের এক কৃষক বলেন, আমার মেয়ের পলিপাসের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে ভালো হয়নি, প্রতিবেশী এক ভাইয়ের ছেলেরও সারেনি এখন আমরা গাংনীতে চিকিৎসা করাব। একই অভিযোগ আলমডাঙ্গা উপজেলার খোরদ গ্রামের এক গৃহবধূর।

এ বিষয়ে নুরুন নবী ছামাদ এ্যানি বলেন, আমি সব ধরনের রোগীর জিবি প্রেক্টিস করি। আমি উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। ডাক্তার লিখতে পারি না, আগে লিখতাম এখন আর ডাক্তার লিখি না। সব ধরনের রোগের চিকিৎসা করি তবে নিয়মের মধ্যে অশ্ব ও পাইলসের চিকিৎসা করাতে পারি না। বিপিটি সার্টিফিকেট নেই, অন্য একজনকে দিয়ে থেরাপি দেয়। শতভাগ নিয়ম মেনে কাজ করা সম্ভব হয় না। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ সময়ের আলোকে বলেন, তিনি সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) হিসেবে পলিপাস, অর্শের চিকিৎসা করতে পারেন না। এবং নামের আগে ডা. লিখতে পারবেন না। এসএফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে আমি এটার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড
এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫। ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com