২০২১ সালে ধর্ষণের শিকার ১৩২১ নারী
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() তিনি বলেন, উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলোর বাদী হলেনÑ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বা তাদের সহযোগী বা অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতাকর্মী। আর ভিকটিম হলেন মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, নারী অধিকার কর্মীসহ যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন এবং বিরোধী দল ও বিরোধী দলের মানুষরাই এই আইনে করা মামলার শিকার হচ্ছেন। আসক মহাসচিব মো. নূর খান বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, আমরা দীর্ঘদিন বাংলাদেশে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে সে বিষয়ে সোচ্চার রয়েছি। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা অনুসন্ধান শেষ করেছি। আমরা দেখেছি ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ বা যেকোনো নামেই হোক এসব হচ্ছে এবং সেগুলো হলো ঠান্ডা মাথায় খুন। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি, বিচারহীনতা এবং এক ধরনের গুম-খুনের সংস্কৃতির কারণে আমরা এমন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে, আমাদের সবসময়ই মনে হয়, আমরা একটি ভীতিকর অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। ভয়ের চাদর আমাদের আবৃত করে রেখেছে। সেখানে আমরা মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদেরও দাঁড় করানো সম্ভব হয় না। আমাদের ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল সরকারের। সেটা সরকার পারেনি। অন্যদিকে আসকের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালে সারা দেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ১ হাজার ৩২১ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৭ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৯ জন। ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন মোট ১ হাজার ৬২৭ নারী এবং ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪১৩ জন। নির্যাতন ও যৌন হয়রানির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনায় আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০২১ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১২৮ নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন ৭৭ জন পুরুষ। উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ নারী। এ ছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিন নারী ও পাঁচ পুরুষসহ খুন হয়েছেন মোট আটজন। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৬৪০ নারী। যার মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা যান ৩৭২ জন এবং আত্মহত্যা করেন ১৪২ জন। আর ২০২০ সালে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৫৫৪ নারী। অন্যদিকে ২০২১ সালে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার শিকার হন ৭২ নারী এবং আত্মহত্যা করেন ১৩ নারী। সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে ১২ নারী নির্যাতনের শিকার হন। এর মধ্যে সালিশে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিন নারী এবং নির্যাতন পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যা করেন দুই নারী। /এমএইচ/
|