শীতের ভরা মৌসুম: না কমে বাড়ছে শাকসবজির দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে শসার দাম। ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপির দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে বেড়েছে শিমের দাম। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। এদিকে দাম না বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর, মুলা, শালগমের। সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা শসার কেজি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে শসার কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে শসার দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শসার দামের বিষয়ে কারওরান বাজারের ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, হঠাৎ করেই বাজারে শসার সরবরাহ কমে গেছে। বাজারে শসা অনেক কম এসেছে। এ কারণে এমন দাম বেড়েছে। তবে আমাদের ধারণা, শসার এই দাম বেশিদিন থাকবে না। অল্প সময়ের মধ্যেই শসার দাম কমে যাবে। শসার পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ফুলকপির দাম। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপির দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে বেড়েছে শিমের দাম। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শালগমের (ওল কপি) কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এ ছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এগুলোর দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। ভরা মৌসুমেও শীতের সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে শেওড়াপাড়ার ব্যবসায়ী লোকমান আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে ফুলকপির দাম লম্ফঝম্প করছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সামনে আরও দাম বাড়বে। আর ফুলকপির দাম বাড়লে অন্য সবজির দামও বাড়তে পারে। বাজারটিতে সবজি কিনতে আসা হারুন অর রশিদ বলেন, এখন শীতের সবজির ভরা মৌসুম। স্বাভাবিকভাবেই এখন সবজির দাম কম হওয়ায় কথা। কিন্তু দেখেন সবজির দামে যেন আগুন লেগেছে। ৩০ টাকার শসা ৮০ টাকা হয়েছে। ৩০ টাকার ফুলকপি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এটা কীভাবে স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে। আসলে বাজারে কারও কোনো নজরদারি নেই। যে কারণে হুটহাট করে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলামাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি কমেছে সোনালি ও লাল লেয়ার মুরগি দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। গত সপ্তাহে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা বিক্রি করেছি। সরবরাহ কম থাকায় এমন দাম বেড়েছিল। তবে এখন মুরগির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। তাই দাম কমেছে। আমাদের ধারণা সামনে মুরগির দাম আরও কমবে। /জেডও/
|