ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

হুমকিতে এলাকা ছাড়ল গাছিরা
চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য: ঠাকুরগাঁওয়ে খেজুরের গুড় তৈরি বন্ধ
প্রকাশ: রবিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:২৬ পিএম  (ভিজিট : ৭৫৪)
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি খেজুরবাগান। বেশ কয়েক বছর ধরে শীত মৌসুমে এ বাগানের রস থেকে উৎপাদিত হয়ে আসছিল বেশ উন্নতমানের খেজুরের গুড়। তবে এবার মৌসুমের মাঝামাঝিই চাঁদাবাজদের হুমকিতে বাগান ও এ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে গাছিদের।

সূত্র জানায়, সদর উপজেলার নারগুন বোচাপুকুর এলাকায় সুগার মিলের একটি জমিতে প্রায় ৫ শতাধিক গাছ নিয়ে গড়ে ওঠে এ খেজুরবাগানটি। ২০১৮ সালের দিকে বাগানটি লিজ নেয় রাজশাহীর কয়েকজন গাছি। তারা বাগান থেকে রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে তৈরি করছিল বিভিন্ন ধরনের গুড়। সময়ের ব্যবধানে খেজুরের রস ও রস থেকে তৈরিকৃত এসব বিভিন্ন ধরনের গুড় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল জেলাজুড়ে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার গুড় যাচ্ছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন মানুষ এই বাগানে ভিড় করত বাগান দেখতে, খেজুরের রস খেতে কিংবা গুড় তৈরি দেখতে।


রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকালে খেজুরের গুড় তৈরির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে গাছিদের দেখা পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় গাছি দলের প্রধান কারিগর সুজন আলীর সঙ্গে।

এ বিষয়ে কারিগর সুজন আলী মোবাইল ফোনে জানান, প্রতিবারের মতো এ বছরও গাছিরা এই বাগানে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি শুরু করে। কিছুদিন আগে এক রাতে কয়েকজন লোক এসে বিনামূল্যে খেজুরের রস খায় এবং বেশ কিছু রস নষ্ট করে। তারা নানা রকম হুমকি দেয়। রাতে এসে হত্যা করবে বলে ভয় দেখায়। এক-দুদিন পরপর এসে তারা এভাবে চাঁদা দাবি করে ও হুমকি দেয়। শেষ পর্যন্ত আমরা বাধ্য হয়ে গুড় তৈরির কাজ বন্ধ করে বাড়ি চলে আসি।

এ বিষয়ে সুজন আলী স্থানীয় প্রশাসন বিভাগের কারও কাছে অভিযোগ করেছে কি না তা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের বাড়ি অনেক দূরে। রাতের আঁধারে তারা যদি সেখানে আমাদের মেরে ফেলত কে আসত আমাদের বাঁচাতে? তাই প্রাণের ভয়ে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানাইনি।

এ বিষয়টি শুনে স্থানীয়রা জানান, এটি খুব দুঃখজনক বিষয়। কিছু অসাধু লোকের জন্য আমাদের জেলার সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ বিষয়গুলো এড়াতে প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গাছিরা বিষয়টি আমাকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত। ভয় পেয়ে গাছিরা গুড় তৈরির কাজ বন্ধ না করে তাদের উচিত ছিল প্রশাসনকে অবগত করা। আগামীতে এরকম কোনো কিছু হলে কঠোরহস্তে তা দমন করা হবে বলে জানান তিনি।

/জেডও/


আরও সংবাদ   বিষয়:   খেজুর রসের গুড়   গুড়   খেজুরের গুড়  




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close