প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 904
পৃথিবীতে যেমন আল্লাহর রহমত ও সাহায্য ছাড়া বান্দা চলতে পারে না; তেমনি পরকারেও আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবেন না। তাই আল্লাহর রহমত ও সাহায্য আমাদের অর্জন করতেই হবে। কোরআন-হাদিসের আলোকে যারা আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হন, যাদের সঙ্গে আল্লাহ থাকবেন বলে জানিয়েছেন, তারা হলেন- আল্লাহভীরু ও দয়াশীল : আল্লাহ মুত্তাকি ও দয়াশীল মানুষের সঙ্গে থাকার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন যারা আল্লাহভীরু ও অনুগ্রহকারী।’ (সুরা নাহল : ১২৮)
আল্লাহর পথে আহ্বানকারী : যারা মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করে আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। আল্লাহর মহান দুই নবী মুসা ও হারুন (আ.)-কে ফেরাউনের কাছে দ্বীনি দাওয়াত নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, নিশ্চয় আমি তোমাদের সঙ্গে আছি; আমি শুনি ও দেখি।’ (সুরা তাহা : ৪৬)
বিপদগ্রস্ত মুমিন : যখন কোনো মুমিন বিপদগ্রস্ত হয় এবং তারা আল্লাহর সাহায্য কামনা করে আল্লাহ সাহায্যের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে থাকেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন দুই দল পরস্পরকে দেখল, মুসার অনুসারীরা বলল, নিশ্চয় আমরা ধরা পড়ে যাব। মুসা (আ.) বললেন, কখনই না। নিশ্চয় আমার প্রভু আমার সঙ্গে আছেন। তিনি আমাকে পথ দেখাবেন।’ (সুরা শুরা : ৬২)
আল্লাহর পথে হিজরতকারী : আল্লাহর নির্দেশে মহানবী (সা.) যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করছিলেন, তখন আবু বকর (রা.) শত্রুর হাতে ধরা পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘যখন তারা গুহায় ছিল, তখন সে তার সঙ্গীকে বলেছিল, বিষণ্ন হয়ো না। আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা তাওবা : ৪০)
ধৈর্যশীল ব্যক্তি : যারা দ্বীনের ওপর চলতে গিয়ে বিপদের শিকার হয় এবং ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা : ১৫৩)
অন্তরে আল্লাহর ভয়কারী : আল্লাহকে সঙ্গে পেতে হলে আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করতে হবে। জীবনের সর্বত্র তার বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন করতে এবং তার সৃষ্টির সঙ্গে বিনম্র আচরণ করতে হবে। হজরত কাতাদাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তার সঙ্গী হবেন। আর আল্লাহ যার সঙ্গী হবেন, তার সঙ্গী এমন একটি দল হবে (অর্থাৎ ফেরেশতারা) যাদের পরাজিত করা যায় না, এমন পাহারাদার হবেন যিনি ঘুমান না এবং এমন পথপ্রদর্শক হবেন যিনি কখনও পথভ্রষ্ট হন না।’ (জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম : ২০/১৪)