জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাবি এলাকায় মশাল মিছিল, ছাত্রলীগের বাধা দেয়ার চেষ্টা
প্রকাশ: শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২, ৪:০৪ এএম (ভিজিট : ২৯৭)
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মশাল হাতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এ সময় তাদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে সরকার কর্তৃক সকল ধরণের জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাত দেড়টায় এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মিছিলে বিক্ষোভকারীরা তেলে দাম কমানোর দাবিতে স্লোগান দেন। মশাল হাতে মিছিলটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসি এলাকা হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রদক্ষিণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গেলে বিক্ষোভকারীরা ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীর বাধার সম্মুখে পড়ে। ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল ছাত্র অধিকার পরিষদের মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে, এসময় হাতাহাতি বা মারামারির মতো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরে মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে জগন্নাথ হলের সামনে দিকে স্লোগান দিতে দিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় চলে যায়।
ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তাদের কর্মসূচী চলাকালীন কয়েকবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ভয় দেখাতে মোটরসাইকেলে চড়ে মহড়া দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত বড় কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে ছাত্রলীগের কারা মহড়া দিচ্ছিলো, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আকতার হোসেন বলেন, 'আপনারা জানেন আজ ডিজেল-পেট্রোল-অকটেন সহ প্রত্যেকটি জ্বালানি তেলের দাম কয়েক শতাংশ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচীর মাঝপথে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা লুটের টাকার অকটেন-পেট্রোল পুড়িয়ে মহড়া দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তারা শত শত বাইক নিয়ে এসে ২০ জন ছাত্রের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। আগামীকাল যখন দশ লাখ মানুষ বাংলাদেশের রাজপথ দখল করবে তখন তাদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। আমরা বলতে চাই উন্নয়নের গল্প কোথায় গেল। প্রধানমন্ত্রী ২৭ জুলাইও বলেছিলেন দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের মজুদ আছে। তাহলে সেই তেল কই? আমরা কেউ জানি না।'
তিনি আরও বলেন, 'আজ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ থেকে ভারতে জ্বালানি পাচার হতে পারে। সেজন্য নাকি দেশে জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে। দেশের মানুষের অধিকারকে পদে পদে ক্ষুণ্ন করতে করতে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। আমরা বিশ্বাস করি দেশের মানুষ রাজপথে নেমে গণজোয়ার সৃষ্টি করবে।'
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। রাত ১২টার পর থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর করা হয়েছে।ডিজেল ও কেরোসিন লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে ১৩৫ টাকা করে যা আগের তুলনায় ৪৬ টাকা বেশি।
/ডিএফ