প্রকাশ: শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২, ১১:২১ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 445
দৈনিক ২০০ কোটি টাকা এবং বছরে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আমদানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন।
শনিবার রাজধানীর কাওরান বাজারের বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে জুয়েলারি শিল্পের বাজারে অস্থিরতা, সঙ্কট, চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম, অর্থপাচার ও চোরাচালান বন্ধে কাস্টমসসহ আইন-প্রয়োগকারি সংস্থাগুলোর জোরালো অভিযানের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাজুস চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রাথমিক ধারণা- প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলঙ্কার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। দেশে চলমান ডলার সঙ্কটে এই ৭৩ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বাজুসের পক্ষে প্রস্তাব করেন- সোনা চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুলকে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে সরকারি, মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। পাশাপাশি চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন করতে হবে। এছাড়াও ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সঙ্কট ও চোরাচালানে কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে বাজুসকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে সমীক্ষা পরিচালনার প্রস্তাব করেন।
এফএইচ