ই-পেপার বিজ্ঞাপনের তালিকা শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭ আশ্বিন ১৪৩০
ই-পেপার শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
https://www.shomoyeralo.com/ad/Amin Mohammad City (Online AD).jpg

https://www.shomoyeralo.com/ad/780-90.jpg
জোচ্চুরির মামলার পরদিনই বাজার আরও চড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:৩৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ  Count : 133

পণ্যমূল্য নিয়ে জোচ্চুরির অভিযোগে ৪৯ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে মামলার পরদিন শুক্রবার রাজধানীর বাজারে পণ্যমূল্য নতুন করে আরেক দফা বাড়ল। বিশেষ করে চাল, ডিম, মুরগি ও সবজির দাম আবারও বাড়ল। ফলে বাজারে গিয়ে ভোক্তাকে কেনাকাটায় আরও বেশি খরচ করতে হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে চাল, ডিম ও মুরগির মাংসের দাম। এ তিনটি পণ্যের দাম বাড়ানোর পেছনেই কারসাজির প্রমাণ পেয়ে মামলা করেছে প্রতিযোগিতা কমিশন। বৃহস্পতিবার মামলার পর আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে কোম্পানিগুলোকে।

প্রতিযোগিতা কমিশন চালের বাজারে সঙ্কট সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে রশিদ এগ্রো ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবদুর রশিদ ও নওগাঁর বেলকন গ্রুপের বেলকন প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ইস্কাটন, বাড্ডাসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মোটা-সরু সব চালের দামই বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা। দুই টাকা বেড়ে মোটা স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায় ও বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। চিকন চালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মিনিকেট ও নাজিরশাইল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮৪ টাকায়।

কারওয়ান বাজার এলাকার ব্যবসায়ী কবীর হোসেন বলেন, ‘পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া এখন চালের মৌসুম শেষ। যদিও চাল আমদানির কথা শুনছি, কিন্তু বাজারে সেগুলো আসছে না। এ জন্য চালের দাম বাড়ছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও চাহিদামতো চাল মিলছে না। মোকামে যে পরিমাণ চালের অর্ডার দেওয়া হচ্ছে তা পাওয়া যাচ্ছে না।’ চলতি সপ্তাহের আগে টানা তিন সপ্তাহ চালের দামে ছিল ভাটার টান। কেজিতে ছয় থেকে আট টাকা কমেছিল ওই সময়।

প্রতিযোগিতা কমিশন দুই করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিটি গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আটা-ময়দার সঙ্কট তৈরির অভিযোগে। মামলার পরদিন খোলা ময়দার দাম কেজিতে দুই টাকা বাড়ার তথ্য মিলেছে। গত সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা ময়দা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকায়। প্যাকেটের ময়দার দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা কেজি, এখন হয়েছে ৭৫ টাকা।

বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তেলের বাজারে সঙ্কট তৈরির অভিযোগে। বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বেড়ে গেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৭২ টাকা দরে, সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭৭ টাকা।
ডিমের সঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে প্যারাগন পোল্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডিম ব্যবসায়ী-আড়তদার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ্, কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। 

মামলার পরদিন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ডিমের দর আবার দিয়েছে লাফ। গত মাসে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। পরে দাম কমতে কমতে নেমেছিল ১২০ টাকায়। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে আবার বাড়তে থাকে। ডজনের দাম হয়ে যায় ১৩৫ টাকা, সেটি আবার বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, রামপুরা বাজারে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, কোথাও কোথাও ৫০।
গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন সবজির মৌসুম শেষ প্রায়, শীতের আগাম সবজির জোগান বাজারের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। আর সরবরাহে টান পড়ার কারণে প্রতি বছরের মতো শীতের আগে আগে দাম বাড়ার যে প্রবণতা দেখা যায়, সেটি দেখা যাচ্ছে এবারও।

সবজিভেদে দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বেগুন ১০০, কচুর লতি ৮০, মুলা ৬০, শসা ৭০, করলা ৮০, ঢেঁড়শ ৬০, পটোল ৫০ থেকে ৬০, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০, শিম ১৫০ থেকে ১৬০, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০, পেঁপে ২০ থেকে ৩০, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাঁধাকপি ও ফুলকপি উঠতে শুরু করেছে, আকারে ছোট, তবে দামে বড়; একেকটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেড়ে গেছে মিষ্টি কুমড়ার ফালির দামও। কেউ বিক্রি করছে ৩০ টাকায়, কেউ কেজি প্রতি দাম চাইছে ৪০ টাকা। দাম বেড়েছে আদা-রসুনেরও। আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজি দরে যে আদা বিক্রি হয়েছে, গতকাল সেই আদা বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা দরে।

আমদানি করা ৮০ টাকা কেজি আদার দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া রসুন এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

/এসকে

https://www.shomoyeralo.com/ad/Local-Portal_728-X-90 (1).gif

আরও সংবাদ   বিষয়:  বাজার  




https://www.shomoyeralo.com/ad/Google-News.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড
এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫। ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com