প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:০৫ এএম (ভিজিট : ১৪৭)
ইরানে হাদিস নাসাফি নামের ২০ বছরের যে তরুণীর খোলা চুলে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার পেট, ঘাড়, হৃৎপিণ্ড ও হাতে গুলি করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে নৈতিকতা পুলিশের ‘পিটুনি’তে মাহসা আমিনির নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার ১২তম দিনের মতো অব্যাহত ছিল বিক্ষোভ। নরওয়েভিত্তিক সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) দাবির বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে মৃতের সংখ্যা ৪১ দাবি করা হয়েছে। দাবি অনুযায়ী, বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীও ‘দাঙ্গাকারীদের’ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
হাদিসের দাফনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায় সদ্য খনন করা কবরের পাশে তার ছবির পাশে লোকজন কাঁদছে। সেই ভিডিও টুইট করেছেন মাসিহ আলিনেজাদ নামের ইরানের একজন সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী। হাদিসের ডাকনাম ‘পনিটেইল গার্ল’। অন্য অনেক ইরানি নারী, যারা সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদ করার জন্য চুল খুলে পুলিশ অফিসারদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তাদেরই একজন হাদিস।
এদিকে মানাবাধিকার সংস্থা আইএইচআর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, তারা বিক্ষোভ দমনে অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করছে। এ ছাড়াও, ২০ সাংবাদিকসহ বহু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আইএইচআরের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোঘাদ্দাম বলেছেন, ‘বিক্ষোভকারীদের নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তাজা গোলাবারুদের ব্যবহার একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ। বিশ^কে অবশ্যই ইরানের জনগণের মৌলিক অধিকারের দাবি রক্ষা করতে হবে।’ জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বিক্ষোভ দমনে কর্তৃপক্ষের সহিংস প্রতিক্রিয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি ইরানের জনগণের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছে।