ই-পেপার বুধবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
বুধবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

দেবী বরণে সাজসাজ রব
সারা দেশ ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:৫৮ এএম  (ভিজিট : ২৫৫)
দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শনিবার মহাষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে। এ উপলক্ষে সারা দেশের মণ্ডপগুলোয় এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে দুর্গতিনাশিনী দুর্গার অবয়ব। দুর্গার সঙ্গে স্থান পাচ্ছে লক্ষ্মী, কার্তিক ও গণেশের মূর্তিও। সব মিলিয়ে চারদিকে সাজ সাজ রব। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন।

গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় বেশির ভাগ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিতে মাটি ও রঙের কাজ শেষ করেছেন শিল্পীরা। কোথাও কোথাও সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ। প্রতিমা তৈরির পর রঙের আঁচড় দেওয়ার কাজ চলছে। শিল্পীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নিপুণ হাতে রংতুলির আঁচড়ে মাসাধিক সময় ধরে দেবী দুর্গার সর্বোচ্চ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে। একই ভাবে ব্যস্ত ডেকোরেটরসহ আলোকসজ্জা শিল্পীরা। প্রতিটি পূজামণ্ডপে চলবে আলোকসজ্জা প্রতিযোগিতা। এ বছর জেলায় ৬২০টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্র জানায়, এ বছর জেলার সাতটি উপজেলায় ৬২০টি মন্দির ও পূজামণ্ডপের মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ১০৩টি, সুন্দরগঞ্জে ১৩৯টি, গোবিন্দগঞ্জে ১২৬টি, সাদুল্লাপুরে ১১০টি, পলাশবাড়িতে ৬৬টি, সাঘাটায় ৫৯টি এবং ফুলছড়িতে ১৭টি মণ্ডপ ও মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে।

পাবনা : পাবনায় বিগত বছরের চেয়ে এবার আরও বেশিসংখ্যক মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। জেলায় ৩৫৯টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জেলা সদরে রয়েছে ৫৩টি পূজামণ্ডব। এর মধ্যে স্থায়ী মণ্ডব সংখ্যা ৩৪৪টি আর অস্থায়ী মণ্ডব রয়েছে ১৫টি। করোনা মহামারির কারণে বিগত দুই বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে বিধিনিশেধ মেনে স্বল্প পরিসরে পূজা পালন হয়েছে। তাই এ বছরে বেশ জাঁকজমকভাবে পূজা পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আয়োজকরা। আর এ উৎসবকে সামনে রেখে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। 

বান্দরবান : জেলায় ৩১টি পূজামণ্ডপে এবারে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে শুধু জেলা সদরেই মণ্ডপ হবে ১১টি। স্থানীয় রাজার মাঠেই তৈরি করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষণীয় পূজামণ্ডপ। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুর্গাদেবীর প্রতিমা ছাড়াও তৈরি করা হচ্ছে নজরকাড়া বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা। আর সনাতন ধর্মালম্বীদের এই বৃহৎতম দুর্গাপূজা উৎসবকে সুন্দর ও সফল করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও সেরে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

গৌরনদী (বরিশাল) : উপজেলার ৮৫টি মণ্ডপে চলছে বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য আয়োজন। স্থানীয় মৃৎশিল্পীদের তত্ত্ব¡াবধানে চলছে মাটির দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ। তবে এলাকায় মৃৎশিল্পীদের সংখ্যা কম থাকায় বাইরের এলাকা থেকে মৃৎশিল্পী এনে তাদের দ্বারাও দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ করানো হচ্ছে। সব মৃৎশিল্পী মিলে দিনরাত কাজ করে প্রায় সমাপ্ত করেছেন মণ্ডপগুলোয় প্রতিমা তৈরির কাজ। সার্বজনীন এ দুর্গাপূজা উৎসব চলাকালে কঠোর নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকবে গৌরনদী মডেল থানা এবং হাইওয়ে থানা পুলিশসহ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সেই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন উৎসব অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে। গৌরনদী মডেল থানা ওসি মো. আফজাল হোসেন বলেন, সার্বজনীন এ উৎসবকে নির্বিঘ্ন ও আনন্দমুখর করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পূজারিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।  
                  
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়ন, আগ্রাদ্বিগুণ, আলমপুর, আড়ানগর, জাহানপুর, ইসবপুর ও খেলনা ইউনিয়নের মণ্ডপগুলোয় প্রতিমা তৈরির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। অন্যদিকে দুর্গোৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। জামাই-বেটিদের দাওয়াত ও ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটা। এ ছাড়াও মণ্ডপ পাড়ায় অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য আগে থেকেই নারিকেলের নাড়ু, ময়দা দিয়ে তৈরি লুচিপুরি, বুটের ডাল, মিষ্টি, চাটনি ও পায়েসসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির ব্যস্ততা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে তাদের।

মনপুরা (ভোলা) : এ বছর উপজেলার ১০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। মনপুরা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপম চন্দ্র দাস জানান, ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে চলছে আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ ও মণ্ডপের সাজসাজ রব। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্র থেকে পাঠানো ২৬ দফার নির্দেশনা সব মন্দির ও পূজা কমিটির কাছে পাঠানো হচ্ছে। এ নির্দেশনা মেনেই সবাইকে পূজা উদযাপন করার অনুরোধ করা হয়েছে। মনপুরা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিল রতন দাস জানান, উপজেলাজুড়ে ১০টি মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এ উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে বলে আশা করি।

হিলি : হিলিতে গতবারের চেয়ে এবার ভালোভাবে পূজা উদযাপনের আশা করছে মন্দির কমিটি সদস্যরা। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে এ বছর দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় ১২৮৬টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুমন মণ্ডল বলেন, এবারে আমাদের উপজেলায় ২০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্দিরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দুর্গোৎসব পালনের জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও সংবাদ   বিষয়:  দেবী বরণ  




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড
এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫। ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close
https://www.shomoyeralo.com/ad/1698384544SA-Live-Update.jpg