প্রকাশ: সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ১:৩৭ এএম (ভিজিট : ২৩১০)
খুবই পরিচিত একটি দেশীয় ফল কতবেল। কতবেলে খাদ্যশক্তি রয়েছে কাঁঠাল ও পেয়ারার সমান। আমিষের পরিমাণ একটি আমের চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, লিচুর চেয়ে ৩ গুণ, আমলকী ও আনারসের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কতবেলের উপকারিতা সম্পর্কে-
কতবেলে আছে ট্যানিন নামের একটি বিশেষ উপাদান, যা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেটব্যথা ভালো করে।
কাঁচা কতবেল ছোট এলাচ, মধু দিয়ে মাখিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়। এই ফলের নির্যাস কলেরা এবং পাইলসের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়াও কতবেল গাছের বাকল মধুর সঙ্গে মিশ্রণ করে খেলে পেটের রোগ আমাশয় ভালো করে।
কতবেল সর্দি-কাশির জন্য অনেক উপকারী। কতবেল খেলে সর্দি-কাশি ভালো হয়ে যায়। কতবেলের টক মিষ্টি স্বাদ মুখের রুচি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে যদি কারো খেতে অরুচি থাকে তাদের জন্য কতবেল অনেক উপকারী। এ ছাড়াও কতবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি জোগায়।
ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতেও কতবেল মলম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই ফল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।একই সঙ্গে বুক ধড়ফড় কমায় এবং রক্তের নিম্নচাপ রোধেও অনেক সহায়ক। চিনি বা মিছরির সঙ্গে কতবেল পাউডার মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং রক্তসল্পতাও দূর হয়।
কতবেল উদ্দীপক ও মূত্রবর্ধক কাজে বিশেষ উপাদেয়। এ ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে। কতবেলের নির্যাস ব্যাপকভাবে ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য আয়ুর্বেদী ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
কতবেল শুকিয়ে পাউডার করে সারা বছর সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এই পাউডার খেলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং দীর্ঘস্থায়ী আমাশা দূর করে। এ ছাড়া যকৃৎ ও হৃৎপিণ্ডের জন্যও বিশেষ উপকারী হলো কতবেল।
কতবেল মহিলাদের হরমোনের অভাবসংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে। এমনকি স্তন ও জরায়ু ক্যানসার নিরাময় করে থাকে। ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কতবেলের রস মুখে মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।