প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৬:২০ এএম (ভিজিট : ১৩৮)
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় ২২ পৌর এলাকায় দুর্যোগ সহনশীলতা বাড়াতে সরকার ‘উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণু’ নামে দুই হাজার ৫৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে দুই হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪৩০ কোটি টাকা এবং এডিবির ঋণ সহায়তা দুই হাজার ১১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ও অনুদান ৩৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত শহরগুলোতে ২১টি স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার, চারটি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাগার, ২২টি বস্তি উন্নয়ন এবং ২১টি মাল্টিপারপাস মার্কেট নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া যোগাযোগ অবকাঠামো শক্তিশালী করতে ৩০৯ কিলোমিটার সড়ক, চারটি বাস টার্মিনাল এবং এক হাজার ৪৫ মিটার সেতু এবং প্রায় ১৪১ কিলোমিটার চেইনেজ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটি মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে মন্ত্রী এ কথা জানান। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রণয়ন করা কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি (সিডিএস-২০০৬) অনুযায়ী উপকূলীয় ১৯টি জেলার মধ্যেও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ১১টি জেলা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চলমান উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্প প্রণয়নের শুরুতে এডিবির নিয়োগ করা প্রজেক্ট প্রিপারেটরি টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স (পিপিটিএ) ১১টি জেলার অন্তর্গত। জেলাগুলো হচ্ছে-বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ। ৪৩টি পৌরসভায় নির্ধারিত সূচকের ভিত্তিতে নির্বাচিত অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এই অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান প্রকল্পের আওতায় তিনটি ব্যাচে ১০টি পৌরসভাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে চলমান উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্প প্রণয়নের জন্য এডিবির কান্ট্রি অপারেটিং বিজনেস প্ল্যানে (সিওবিপি) ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাথমিক বরাদ্দ ছিল।
প্রকল্পের আওতায় নতুন পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ গঠিত পৌরসভা নির্বাচন কমিটির সভা ২০১৯ সালের ১৩ জুন অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় অগ্রাধিকার তালিকা ও নির্ধারিত সূচক পর্যালোচনা করে ২২টি পৌরসভা দ্বিতীয় পর্বের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়। পরে গত বছরের ২০-২৬ জানুয়ারি প্রকল্প প্রস্তুতির জন্য এডিবির সঙ্গে ভার্চুয়াল কনসালটেশন মিশন পরিচালিত হয়। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি এডিবির সঙ্গে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন অনুষ্ঠিত হয়। মিশনে জানানো হয়, এডিবি আরও ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এডিবির দেওয়া অর্থ ও ফাইন্ডিং মিশনের এইড মেমোরির ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত উপকূলীয় শহর সহিষ্ণু প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
প্রবীণ আইনজীবী ও বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই
হ্যাটট্রিক জয়ে শীর্ষে কিংস 
এনডিটিভির পরিচালনা পরিষদ থেকে পদত্যাগ ২ প্রতিষ্ঠাতার
নতুন বছরে জঙ্গি মোকাবেলায় প্রস্তুত র্যাব
শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ সেনাবাহিনী প্রধানের 
পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না: ডিএমপি 
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ
নতুন বছরে যে দোয়া পড়বেন 
শয়তানের প্রভাবমুক্ত থাকার উপায়
বিএনপি-জামায়াত জানমালের ক্ষতি করলে কঠোর হস্তে দমন: নানক
বিদায় ২০২২ : তবু অনন্ত জাগে