প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৫:০৪ পিএম (ভিজিট : ৯৩)
গতমাসে চীন পিপলস লিবারেশন আর্মিতে পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ৩০ জন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সামরিক পাইলট নিয়োগ করেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এদিকে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়োগের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য চাপ বাড়ছে পশ্চিমা দেশগুলির ওপর।
কলামিস্ট ভ্যালেরিও ফ্যাব্রি বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনা এজেন্টদের দ্বারা এই দেশগুলি থেকে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়োগের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য চাপ বাড়ছে।’ তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের অবসর প্রাপ্ত পাইলটদের চীনে প্রশিক্ষণের ভূমিকা গ্রহণ করার রিপোর্টগুলিও তদন্ত করছে।
এদিকে অক্টোবরে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছিলেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাজ্য সরকার আরও বলেছে, তারা তৃতীয় পক্ষের যোগাযোগ ব্যবহার করে ব্রিটিশ পাইলট নিয়োগের জন্য চীনের বিড বন্ধ করার চেষ্টা করার জন্য মিত্রদের সাথে কাজ করছে, যার মধ্যে রয়্যাল এয়ার ফোর্স এবং অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘আমরা চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য অবসর প্রাপ্ত ইউকে সশস্ত্র বাহিনীর পাইলটদের প্রধান করার চেষ্টা করা চীনা নিয়োগ প্রকল্পগুলি বন্ধ করার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি কোম্পানি টেস্ট ফ্লাইং একাডেমি অফ সাউথ আফ্রিকা (টিএফএএসএ) এর মাধ্যমে বেইজিং বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারের মতো লাভজনক চুক্তির জন্য বেশিরভাগ পাইলট নিয়োগ করছে বলে জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে ফ্যাব্রি বলেন, টিএফএএসএ চীনের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অ্যারোনটিক কোম্পানি।এভিআইসি-এর সাথে যৌথ উদ্যোগ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনা এয়ারলাইন পাইলটদের জন্য একটি ফ্লাইট স্কুলও চালায়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন সামরিক পাইলটদের নিয়োগের বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।’
পোর্টাল প্লাসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন,‘এমন কিছু কর্মী আছে যারা তাদের নিজের দেশের সেবা করার থেকেও একটি বিদেশি রাষ্ট্রের বেতনের প্রলোভনে পড়েছিলেন যা শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও বিচলিত।
/এমএইচ/