অ্যা লেটার টু বিউটিফুল ফ্রিক
সাবরিনা সাবা মার্শা
|
![]() বলতে পারো কিসের তাড়না আমার ভ্রূণের মধ্যে? বলতে পারো এতো অস্থিরতায় কেন ভুগছি? দিনের পর দিন, রাতের পর রাত…মাসের পর মাস… আর…আর বছরের পর বছর জেগে থেকে কার গুষ্টি উদ্ধার করছি বলতে পারো? কারো কি যায় আসে বলো? উঁহু কিচ্ছু যায় আসে না কারোর। কারন ওরা মানুষ আর আমি… আমি একটা ………আমি একটা……উফফফফফফফফফফ।। মনে পরে আমাদের পুরনো জীবনের কথা? ঐ যে ছয় তলার বাসাটাতে ছিলাম একসাথে কিছুদিন! মনে পরে? ঐ বাসার বারান্দা ছিল আমাদের সবচেয়ে পছন্দের। বাসা দক্ষিণ দিকে হওয়ায় বাতাসেরা লুকোচুরি খেলতো হরহামেশাই। বারান্দার সামনের খোলা মাঠ আর ট্রেনের ঝিকঝিক শব্দ দুটোই খুব পছন্দের ছিল তোমার। যতো যাই হতো না কেন প্রতিদিন রাতে ঐ বারান্দায় তোমার বসা লাগবেই! কতগুলো নির্ঘুম রাত সিগারেট হাতে কাটিয়ে দিয়েছিলাম দুজনেই! ভাবা যায়!…আহ অতীত আমাদের সোনালি স্নিগ্ধ অতীত! জানো! তোমার সাথে প্রতিটি কাটানো মুহূর্ত খুব মিস করি। চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পারি ফেলে আসা সময়গুলোকে! কি হাসছ চিঠি পড়ে? হাসবাই তো তুমি… এটা ছাড়া তো কিছু পারোনা। পারোনি কোনদিন…পারলে তো আজ এভাবে উদ্ভ্রান্তের মতন ঘুরে বেড়াতে না।। আমার চোখের সামনেই কি সুন্দর করে তুমি নিজেকে উল্টেপাল্টে ফেললে? কিভাবে পারলে? শিখিয়ে দিবে আমাকে? খুব শিখতে চাই কিভাবে মরে গিয়েও বেঁচে থাকা যায়! – এ যেন নিজেকে খুব সন্তর্পণে খুন করেও ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে আসা! এরপর… এরপর বাকি জীবদ্দশা এক বিভীষিকাময় প্রায়াসচিত্তকালের ভুক্তভুগি হওয়া! হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা …। কি? কি ভাবছ? ভাবছ পাগল? হা হা হা হা হা হা হা…ভাবতে থাকো…! আজ আসি। ভালো থেকো…। ইতি আমি ২ হাই বিউটিফুল ফ্রিক! রাত ১টা বেজে ৫ মিনিট। আজ পুরো শহর ঘুমের ভেতরেই নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধ। ওই চোখের সমুদ্র সফেন নির্জন দ্বীপ বারবার ডাকতে থাকে কাকে? জীবনের কাছে শান্তি খুঁজতে গিয়ে মৃত্যুশয্যা থেকে উঠে এসে দেখি একটা অদ্ভুত আবেশে ছেয়ে আছে পৃথিবী। কোথাও কেউ নেই বলে মনে করেছিলে কিন্তু সেখানেও যে অপেক্ষা করছে নস্টালজিয়া! মানুষের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে অনুচ্চস্বরে একবার অন্তত বলতে পারতে প্রাপ্তির চাইতে অপ্রাপ্তির আনন্দ কতখানি প্রখর!জানো তো মরে গিয়ে বেঁচে থাকার আভিজাত্যে সবাই নিজেকে রাঙাতে পারেনা! একাকিত্বের মাহাত্ম্য কতখানি যেদিন জেনেছি ঠিক সেদিন থেকেই দিক ভুল করা নাবিক আমি। ঘাটে ঘাটে ডিঙি নৌকার পাটাতনে রাখা জোনাক জ্বলা আকাশের দিকে চেয়ে থেকে রাতদিন এক করে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছি আর কপিফুলের পরাগরেনু গায়ে মেখে ভেঙেচুরে ভালোবেসেছি! ইসসসস বহুকাল হয়ে গেলো রোদ এসে উঁকি দেয়নি বুকের ছোট্ট শহরে। অথচ দেখো এক পশলা বৃষ্টির বিলাসিতায় ঠিকই মেতে উঠেছে বিষন্নবিষাদ মন! এই তুমি কাঁদছো? একা লাগছে? একটু নাকি বেশি? আজ তবে আসি! ভালো থেকো কেমন! শুভরাত্রি! ইতি আমি ৩ জানো নিশ্চয়ই বিষণ্ণ মানুষগুলো কি রকম একটা চাপা কষ্ট নিয়ে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয়! ইসসসসসস! নানান রকম রঙিন বিষণ্ণতায় প্রতিটি দিন শুরু হয়…তারপর আস্তে আস্তে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লাল-হলুদ-সবুজ ট্রাফিক লাইটের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যায়। আচ্ছা বিষণ্ণ মানুষগুলো কি সত্যি একা? তাঁরা কি পরিমাণের চাইতেও অধিক নিজেদেরকে একা মনে করে? এক কথায় প্রকাশের মতন উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে, তাঁদের বুঝবার মতন মানসিক-বোধ অন্য মানুষের আছে?- এমন প্রশ্ন মাথায় আশা কি স্বাভাবিক? নাকি সব মানুষই নিজেদেরকে একা মনে করে? মানে হল ২৪ ঘণ্টার যেকোনো একটা সময়ে, হতে পারে ঘুম থেকে উঠেই কিংবা কাজের ফাঁকে নয়তো ঘুমানোর আগে অথবা মধ্যরাতে চৌকিদারের বাঁশির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে? -কি একা লাগে/ একা মনে হয়? -উম্মম্মম্ম কতখানি একা? -সেই একাকিত্তের কি কোন রং আছে? -দেখা যায়? ছোঁয়া যায়? -মানে, ক্যামন পুরো বিষয়টা?/এইরকম চিন্তা ইত্যাদি ইত্যাদি ভাবনা মনের মধ্যে, মস্তিষ্কের ভেতরে আশাটা কি স্বাভাবিক? -না? -তাহলে অস্বাভাবিক? -সেটাও না? -তাহলে? হারিয়ে যাচ্ছি একটু একটু করে। অনেক চিৎকার করতে ইচ্ছা করছে। প্রায়ই করে। কখনো কখনো মুখে বালিশ চাপা দিয়ে চিৎকার করি। আচ্ছা তখন ক্যামন লাগে দেখতে? অনেক ভয়াবহ? অনেক হিংস্র? কখনো কখনো একা চুপচাপ বসে থাকবার মতন জায়গাও খালি পাওয়া যায়না! বিশাল বড় ফাঁকা জায়গার অভাববোধ নিয়ে ভেতরে ভেতরে ক্ষত জমতে থাকে…সময়ের সাথে সাথে ক্ষত থেকে দগদগে ঘায়ের সৃষ্টি হয়… ঘা থেকে হালকা বাদামি সাদা পুঁজ বের হতে শুরু করে… উপায় না পেয়ে ক্ষতের যন্ত্রণা কমাতে অ্যান্টিসেপটিক লাগিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে কোনোরকম ভাবে বেঁচে থাকার দারুণ একটা প্রতিযোগিতায় ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও নাম যখন লেখাতে হয়, তখন খুব প্যাথেটিক একটা ফিলিংস কাজ করে। সব কিছু একটু একটু করে মরিচিকার মতন উড়তে শুরু করে। আবার মনে কর, গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া এবং ঘুম ভাঙার পরের গল্পটা খুব কষ্টের! ক্যামন কষ্টের? বিষণ্ণতার চাইতেও ভয়াবহ। সারা শরীর অসাড় হয়ে আসে … প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। বুকের বাম পাশের হৃদপিণ্ড তখন খুব দ্রুতগতিতে ওঠানামা করতে থাকে, আর ঐ ওঠানামার ধুকপুক শব্দটা কানের মধ্যে অন্যরকম শব্দতরঙ্গের সৃষ্টি করে। ভয়ের শুরু ঐ মুহূর্তটা থেকেই… ওইসময়টাতে খুব খুব খুব… মানে খুব বেশি শক্ত করে কিছু একটা জড়িয়ে ধরবার অদম্য ইচ্ছা হয় কিন্তু ইচ্ছাটার কথা বলা যায়না! নিজের ছায়াটাও ঘরের ঘুটঘুটে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে তাই ওকেও শক্ত করে জড়িয়ে ধরা হয়না। এই বীভৎস রকমের অনুভূতি কি সবার হয়? উম্মম্মম কম? বেশি? কোন একদিন ১৮০০০ ফিট থেকে পরে গেলাম, ক্যামন লাগবে? স্টারটিং টা ক্যামন হবে? আআআআআআআআআআআআআআআ করে চিৎকার? নাকি আলট্রাসাউন্ড করার সময় পানি খেতে খেতে ব্লাডার যখন একেবারে ভরে যায় আর পি করার জন্য যেই রকম চাপ টা আসে ওরকম কিছু দিয়ে শুরু হয়? এতো উঁচু থেকে পরে যাবার সময় মনে হতেই পারে ধুপ করে হার্ট টা খুলে পড়বে! কি মনে হতে পারে না?একেবারে শূন্য নামক এই অনুভূতিটাও ওইরকম সময়েই অনুভব হয়। কি আবোলতাবোল মনে হচ্ছে? আহারে মানুষ নাই… কেউ নাই। ফাঁকা ঘরের মধ্যে একটা চেয়ারে চুপ করে বসে থাকায় এক রকম শান্তি আছে। সাদা দেয়ালের ভেতর দিয়ে পানির পাইপের যে লাইন ওইটার শব্দ অনেকটা বাতাসের সোঁ সোঁ শব্দের মতন শোনা যায়। সোনামুখি সুঁই দেখতে যেরকম চিকন ঠিক ওরকম সোঁ সোঁ শব্দ… শুনলে মনে হবে কংক্রিটের তৈরি সাদা দেয়ালের ভেতর কোটি কোটি ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকছে। ঝিঁঝিঁঝিঁঝিঁঝিঁঝিঁ…। কেন উইপোকাও তো দেয়ালের ভেতর থাকতে পারতো! পারতো না? -উইপোকা কেন শুধু মৃত উদ্ভিদের শরীরের অংশ খেয়ে বেঁচে থাকবে? -ওহ ওরা তো আবার কাঠ, বইয়ের পাতা, এইগুলো ও খায়। আচ্ছা থাক যা কিছুই করুক, পোকাগুলো বেঁচে থাকুক… আজকে আসি! তোমায় ভালোবাসি তুমি ভালো থেকো ইতি আমি ৪ হাই বিউটিফুল ফ্রিক! কেমন আছো? রাত ৩.৫০ মিনিট। সারাদিন অনেক হাহাকারে কাটালাম! হাতের ব্যাথাটা বেড়েছে অনেক। কেন জানি মনে হয় অচিরেই আমি লেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবো।আমার হাত বিকলাঙ্গ হয়ে যাবে। তাই এক মুহূর্ত দেরি না করেই তোমাকে লিখতে বসলাম। কে জানে এটাই হয়তো তোমাকে লেখা শেষ চিঠি! হা হা হা হা মাথায় অদ্ভুত সব আইডিয়া ঘুরছে বুঝলে! শুধু মনে হচ্ছে অনেক কিছু লিখা এখনও বাকি। বেশ কিছু মানুষকে বলবার মতো অনেক কথা জমে আছে। দিস্তা দিস্তা কাগজ ভরে লিখলেও কথাগুলো শেষ হবে না বলা।হাতে সময় কম এটা কেন মনে হচ্ছে বলোতো! কানে হেডফোন দিয়ে ফুল ভলিউমে কোহেনের গান শুনছি তোমাকে লিখছি। কোন গান? ঐ যে "If you are the dealer, I'm out of the game If you are the healer, it means I’m broken and lame If thine is the glory, then mine must be the shame You want it darker We kill the flame". শুনেছো তো তাই না? তুষ, বুকের ভেতর ঝড়ের চিহ্ন এঁকে যাই আনমনে। এরকমই এক বরফাচ্ছন্ন রাতে 'ভীষণ ভালোবাসি' বলতে ইচ্ছে হল কেন জানি। ইদানীং কারণ ছাড়াই কাজ করতে ভালো লাগে, ইচ্ছা করে। ইচ্ছে গুলো উড়তে চায় দূর নীলাদ্রি চোখের ইশারায় "You who wish to conquer pain You must learn what makes me kind The crumbs of love that you offer me They're the crumbs I've left behind Your pain is no credential here It's just the shadow, shadow of my wound". ব্যথায় মনে হচ্ছে তলিয়ে যাচ্ছি একটু একটু করে। আমাকে একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরবে প্লিজ! আজ আসি ভালো থেকো ভালোবাসি শুভরাত্রি। ইতি আমি ৫ হাই বিউটিফুল ফ্রিক! কেমন আছো? শাড়ি পড়েছ? চোখে কাজল, কপালে টিপ, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক! কি দেখছো আয়নায় তাকিয়ে? অপেক্ষা করছো? কেন? হা হা হা হা হা একটু কাছে এসে বসবে? হাতের উপর হাত রেখে বিষাদে হারাই! হরিদ্রা রঙের ছোঁয়ায় এঁকে যাই আনমনে সকাল? দুপুর? বিকেল? সন্ধ্যা? নাকি রাত? তোমার সাথে রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে বেড়াতে ইচ্ছে করছে। হাতের মুঠোয় হাত গুঁজে রাখার বাহানায় তো হাতটা অন্তত ধরা যাবে! হি হি হি জানি পৃথিবী একদিন হারিয়ে যাবে হারাবে তাঁর মাতৃত্ব তবুও জেনে রেখো, তোমাকে ভালোবাসার জন্য, একমাত্র আমিই থেকে যাবো পৃথিবীতে! হবে না তাইনা? আরো মানুষ লাগবে ভালোবাসার জন্য! ভালোবাসবার জন্য! কি একা লাগছে? হারিয়ে যেতে চাইছো? এতো সহজ হারিয়ে যাওয়া! অথচ বলা হয়ে উঠেনি কখনও তোমার নিস্তব্ধতা দূর থেকে আমাকে আরও একা বানিয়ে দেয় আর আমি শার্টের বোতামের ফাঁকা জায়গাটা দিয়ে ঢুকে আছড়ে পড়ি তোমার বুকের সরজমিনে! তারপর তারপর একটা ছোট্ট দীর্ঘ শ্বাস হয়ে নিশ্বাসে মিলিয়ে যাই। ভালো থেকো সোনামন! ভালোবাসি! |