প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ৬:৩০ এএম (ভিজিট : ৪৯৮)
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে পরীক্ষার জন্য বিপদাপদ দিয়ে থাকেন। অনেক সময় পাপীদের পাপের পরিণাম হিসেবেও বিপদাপদ আসে। তবে পার্থক্য হচ্ছে- নেককার ব্যক্তি বিপদে পতিত হয়েও একরকম প্রশান্তির অনুভূতি লালন করতে পারেন।
পক্ষান্তরে পাপী ব্যক্তি বিপদে পড়লে পরকালের কঠিন যন্ত্রণার কিছু অংশ দুনিয়াতেই ভোগ করতে থাকে। আমাদের কর্তব্য সব ধরনের বিপদাপদ থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। এমনকি অন্য কোনো মানুষকে বিপদে আক্রান্ত দেখলেও দোয়া পড়া। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘অন্ধ, কুষ্ঠরোগ, অসুস্থতা, দরিদ্র ইত্যাদি বিপদে ও মুসিবতে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে দেখে যদি কেউ এই দোয়া পড়ে, তাহলে সে এ ধরনের বিপদ-মুসিবত থেকে হেফাজত থাকবে- ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আফানি, মিম্মা ইবতালাকা বিহি ওয়া ফাদ্দালানি আলা কাসিরিন মিম্মান খালাকা তাফদিলা’ অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে রক্ষা করেছেন এই মুসিবত থেকে, যাতে তোমাকে পতিত করেছেন এবং অনেক সৃষ্টি জীবের ওপর আমাকে মর্যাদা দিয়েছেন।’ (মেশকাত, মকবুল দোয়া : ১৪৯)। এই দোয়া পড়ার পাশাপাশি ওই বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য সহযোগিতা করাও ইসলামের শিক্ষা।