প্রকাশ: বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১:০৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 531
জীবনযাত্রায় অনিয়ম, খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস, ধূমপান ইত্যাদি কারণে মেলানিন বেড়ে গেলে ঠোঁট কালচে হতে পারে। কিছু ভিটামিন আছে, যার অভাব দেখা দিলে তার প্রভাব পড়ে ঠোঁটে। ফলে রং হয়ে যায় কালচে। নিয়মিত যত্ন নিলে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ আগের মতোই উজ্জ্বল ও গোলাপি।
লেবু: লেবু অ্যাসিডিক গুণসম্পন্ন। এটা প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। লেবু ব্যবহার করলে ঠোঁটের মৃত কোষ উঠে গিয়ে ভেতরের গোলাপি আভা বাইরে চলে আসবে। লেবু কেটে নিয়ে তাতে সামান্য চিনি ছিটিয়ে দিতে হবে। টুকরোটা আলতোভাবে ঠোঁটে ঘষতে হবে। এভাবে দিনে একবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
গোলাপজল : ত্বক কোমল রাখতে গোলাপজলের জুড়ি নেই। এক চা-চামচ মধুতে ২-৩ ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিন। দিনে দুইবার ঠোঁটে ব্যবহার করতে হবে। সরাসরি গোলাপের পাপড়ি বেটেও ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে একটু মাখন মিশিয়ে নিলে ভালো। কালচেভাব কাটতে খুব একটা সময় লাগবে না।
তেল: নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে চমৎকার কাজ করে।১ চা-চামচ নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলে সামান্য চিনি মিশিয়ে গুলিয়ে নিন। স্ক্রাব যেভাবে ব্যবহার করেন ঠিক সেভাবে ঠোঁটে ঘষুন। সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতিতে ঠোঁটের যত্ন নিলেই হবে। দূর হবে কালচে ভাব।
ফলের রস: ঠোঁটে বেদানার রস ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। ১ টেবিল চামচ বেদানা ব্লেন্ড করে নিন। পানি দেওয়া যাবে না। পেস্টটা দুই ঠোঁটে মেখে অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেদানার রস মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে ঠোঁটের কালচেভাব দূর করবে।
শসার রস: শসার রসে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটা দ্রুত পিগমেন্টেশন কমাতে পারে। শসা কেটে আগের মতোই ব্লেন্ডারে পেস্ট বানিয়ে নিন। দুই ঠোঁটে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।