আজ লোককবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী
সময়ের আলো অনলাইন
|
![]() কবি আবদুল হাই মাশরেকী ১৯০৯ সালে ১ এপ্রিল ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জের কাঁকনহাটি গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন জমিদারবিরোধী আন্দোলনের তেজোদীপ্ত নায়ক ওসমান গণি সরকার ও মাতা গৃহিনী রহিমা খাতুন। কবি আবদুল হাই মাশরেকী শৈশব থেকেই গান ও কবিতা রচনা করতেন। কখনো কখনো বাড়ির সামনে কাঁচা মাটিয়া নদীর বুকে ডিঙ্গি ভাসিয়ে দিতেন। লোককবি আবদুল হাই মাশরেকীর ‘আল্লাহ্ মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই আল্লাহ তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- আধুনিক কাব্য ‘কিছু রেখে যেতে চাই’, ‘হে আমার দেশ’, ‘ দেশ দেশ নন্দিতা,’ ‘মাঠের কবিতা মাঠের গান’, ‘কাল নিরবধি’, গীতিনাট্য ও কাব্য ‘ভাটিয়ালী’, পুঁথি কাব্য ‘হযরত আবু বকর (রাঃ),’ খন্ড কাব্য ‘অভিশপ্তের বাণী’, পালাগান ‘রাখালবন্ধু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, পল্লীগীতিকা ‘ডাল ধরিয়া নুয়াইয়া কন্যা’, জারি ‘দুখু মিয়ার জারি,’ ছোটদের কাব্য ‘হুতুম ভুতুম রাত্রি’, গল্প ‘কুলসুম’ ‘বাউল মনের নকশা,’ ‘মানুষ ও লাশ’, ‘নদী ভাঙে,’ নাটক ‘সাঁকো’, ‘নতুন গাঁয়ের কাহিনী’, অনুবাদ ‘আকাশ কেন নীল’। মহান এই কবি ১৯৮৮ সালে ৪ ডিসেম্বর ইশ্বরগঞ্জের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। লোককবি আবদুল হাই মাশরেকীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ‘মাসিক জনপ্রশাসন’ পত্রিকার কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ‘কবি আবদুল হাই মাশরেকী গবেষণা কেন্দ্র। এছাড়াও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় কবির মাজার জিয়ারত, কোরআন পাঠ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় কবি আবদুল হাই মাশরেকী স্মৃতিপরিষদ স্মরণ সভার আয়োজন করেছে।
|