দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ-ডিজেএফবির সঙ্গে যৌথভাবে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বেজা। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি, জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ, আবদুল আজীম চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ উজ জামান প্রমুখ। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে সেখানে দেড় বিলিয়ন বা ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকা। সেখানে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান তিনি। তিনি জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে বিনিয়োগে এরই মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সিঙ্গার ও জার্মানির কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। আরও ৪০টি কোম্পানি সেখানে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। যার মধ্যে ৩০টি কোম্পানি জাপানের। বাকি ১০টি অন্য দেশের। আগামী ৬ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা জানান তিনি। তবে ওই দুটি কোম্পানির নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকার ও জাপানের শেয়ার কত জানতে চাইলে শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, বেজার শেয়ার থাকছে ২৪ শতাংশ, জাইকার ১৫ শতাংশ এবং সুমিতমো করপোরেশনের ৬১ শতাংশ। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, উদ্বোধনের পর কোম্পানিগুলো কারখানা নির্মাণকাজ শুরু করতে পারবে। আগামী এক বছরের মধ্যে সেখানে কারখানা থেকে উৎপাদন শুরু হবে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পথচলা শুরু হয় ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের মাধ্যমে। ২০১৫ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের সময় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়। ২০১৬ সালে জাইকা বাংলাদেশে একটি জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ হাতে নেয় এবং একই বছর জাপান সরকার বিশ্ব বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো করপোরেশনকে ডেভেলপার হিসেবে নিয়োগ করার জন্য সুপারিশ করে। ২০১৮ সালে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে জাইকা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক হাজার একর জমির ওপর জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পক্ষে মত দেয়। পরবর্তী সময়ে যৌথ উদ্যোগে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ২০১১ সালে বেজা ও সুমিতমো করপোরেশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বেজা ২০১৯ সালে প্রস্তাবিত এলাকায় জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নকাজ শুরু করে। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৫০০ একর ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে সংযোগ সড়ক, নিশ্চিত করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। নির্মাণ শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ সড়ক, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। এ পর্যন্ত কোম্পানির অনুকূলে ১৮০ একর উন্নত জমি বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনকে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তা শিল্প কারখানা তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অবশিষ্ট জমি খুব শিগগিরই হস্তান্তর করা হবে।
|