সামনে স্পেন, আফ্রিকান অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জে মরক্কো
ক্রীড়া প্রতিবেদক
|
![]() এবারে টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্সের দিক থেকে স্পেনের চেয়ে উজ্জ্বল মরক্কো। অপরাজিত থাকার গৌরব নিয়েই গ্রুপ পর্ব থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে এসেছে আফ্রিকার এই দেশটি। ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান পায় তারা। পক্ষান্তরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পথ হারায় স্প্যানিশরা। হেরে যায় জাপানের কাছে। দ্বিতীয় সেরা হিসেবে শেষ ষোলোতে উঠে আসে স্পেন। ফুটবলে ঐতিহ্য-অর্জন, হেড টু হেড কিংবা র্যাংকিং- সব জায়গাতেই স্পেনের তুলনায় অনেক পিছিয়ে মরক্কো। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ বিজয়ী স্পেন। এবারও শিরোপার অন্যতম দাবিদার। বিপরীতে আজ অবধি সেমিফাইনালেরই নাগাল পায়নি মরক্কো। বর্তমান ফিফা র্যাংকিংয়ে স্প্যানিশরা আছে ৭ নম্বরে। আর মরক্কোর অবস্থান ২২। দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও আধিপত্য স্পেনের। তিন দেখায় মরক্কোকে দুবার হারিয়েছে ২০১০ বিশ্বকাপ বিজয়ীরা। বাকি ম্যাচটি থেকেছে নিষ্ফলা। সহজ কথায়, স্পেনের বিপক্ষে আজ পর্যন্ত জয়ের স্বাদ পায়নি এই আফ্রিকান দেশটি। যদিও এবারের আসরে স্পেন যে ধরাছোঁয়ার বাইরে নয় সেটা কিন্তু প্রমাণ করে দিয়েছে জাপান। এখান থেকেই আত্মবিশ্বাস পেতে পারে মরক্কো। বড় অর্জন সম্ভব বলেই মনে করছে এবারের বিশ্বকাপে অজেয় থাকা মরক্কো। দলটির গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনাইয়ের ভাষায়, শেষ ষোলোতে উঠে আমরা এরই মধ্যে ইতিহাস রচনা করেছি। কিন্তু আমরা এখন আরও বেশি কিছু চাই। প্রত্যয়ী এই গোলরক্ষক আরও জানান, স্পেনের বিশ্বকাপ শেষ করে দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়তে চাই। লিখতে চাই ফুটবলের নতুন গল্প। যোগ করেন, আমাদের দেশের মানুষকে আমরা খুশি করতে চাই। ম্যাচে স্পেনই আমাদের ভালো খেলতে বাধ্য করবে। আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত। আগের ম্যাচে জাপানের কাছে হারের কারণে বেশ সতর্ক স্প্যানিশ শিবির। দলটির অধিনায়ক সের্জিও বাস্কুয়েটস বলেন, জাপানের বিপক্ষে ম্যাচের পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। অবশ্যই আমরা জিততে চাই। তবে উল্টো দিকও আছে। কেননা কোনো কিছুই কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যায় না। কাজটা আমাদের জন্য সহজ হবে এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। জাপানের বিপক্ষে হারকে তাদের জন্য লজ্জা বলেও জানান স্পেন কান্ডারি। এশিয়ার দলের কাছে হারের পর আফ্রিকান দলের বিপক্ষে কোনো ধরনের লজ্জায় যেন পড়তে না হয়, এর জন্য স্প্যানিশরা আজ মরিয়া থাকবে তা বলাই বাহুল্য। |