ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ডিবির ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নাটক: গ্রেফতার কক্সবাজারে, গুলি গাজীপুরে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৫৫ এএম আপডেট: ০৬.১২.২০২২ ৪:২৭ পিএম  (ভিজিট : ১৩৮৩)
ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলায় কক্সবাজার থেকে ছয়জনকে গ্রেফতারের পর টঙ্গীতে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নাটক সাজিয়ে তিনজনকে গুলি করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, গুলি করার আগে ডিবি কার্যালয়ে আসামিদের বেদম নির্যাতনের পর পানির বদলে খাওয়ানো হয় প্রস্রাব। অভিযানের সময় গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, চাপাতিসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করে পুলিশ। তবে আসামিদের স্বজনদের অভিযোগ, একজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয় পুলিশ।

পুলিশের দায়ের করা মামলায় বাদী গাজীপুর ডিবি দক্ষিণের পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ হোসেন উল্লেখ করেছেন, গাজীপুর মহানগর ডিবি পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ইব্রাহীম ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এডিসি খোরশেদ আলমের নির্দেশে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসামিদের ধরতে অভিযানে যান। সেখানেই গোলাগুলি হয়। স্থানীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, যাদের কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এলো কীভাবে? ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা হলো কীভাবে?

মানবাধিকার ও অপরাধ বিজ্ঞান বিশ্লেষকরা বলছেন, আসামিকে এক জেলা থেকে ধরে আরেক জেলায় নিয়ে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’র নামে গুলি করে আহত করা খুব দুঃখজনক, আইনের চরম লঙ্ঘন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন ঘটনায় শুধু বাহিনীতেই নয়, দেশের ইমেজেরও সংকট। এমনটা পুলিশের কাছ থেকে আশা করে না দেশের মানুষ।

পুলিশের সাজানো মামলা ও কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’র নামে আসামিদের গুলি করার অভিযোগে ভুক্তভোগীদের একজনের স্বজন শিলা বেগম জোসনি গাজীপুরের ডিবি পুলিশের আট সদস্যকে আসামি করে গাজীপুর জজ আদালতে মামলা করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. সুমন মিয়া মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলা নম্বর ৩৫৮৪/২০২২।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তার স্বামী মো. আমিনুল ইসলাম স্বপনকে কক্সবাজার থেকে ধরে গাজীপুর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে কর্মকর্তারা বেদমভাবে শারীরিক নির্যাতনের পর পানির বদলে প্রস্রাব খাইয়েছেন। এরপর মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে আজীবন পঙ্গু করার উদ্দেশে গুলি করা হয়েছে। একইভাবে আরও দুজনকে গুলি করে ডিবি পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন- ডিবির পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ হোসেন, এসআই পরিমল চন্দ্র দাস, এসআই বিল্লাল ভূঞা, এসআই মো. ইব্রাহিম আকন্দ, এসআই আরিফ হোসেন, কনস্টেবল মো. সাদ্দাম হোসেন খান, কনস্টেবল মো. শাহিন মাহাবুব ও কনস্টেবল মো. রমজান। তারা সবাই গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগে কর্মরত। এরই মধ্যে মামলা তুলে নিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীদের চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে স্বজনরা এখনও বাড়ি ছাড়া। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের এমন অভিযোগ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়া রহমানের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি সোমবার সময়ের আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এভাবে যদি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায় সেটি খুবই দুঃখজনক। প্রকৃত অর্থেই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ঘটলে এক বিষয় কিন্তু কক্সবাজার থেকে আসামিদের ধরে এনে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নাটক সাজানো মানা যায় না। শুধু বাহিনীই নয়, বাহিনী ইমেজের চেয়ে এটা দেশের ইমেজ সংকট। এটি আইন পরিপন্থি। সর্বোপরি ভিকটিম যেন বিচার পায় এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটি আমরা চাই। এখন মানুষ বোঝে কোনটি সাজানো ‘বন্দুকযুদ্ধ’ আর কোনটি সত্যিকারের ‘বন্দুকযুদ্ধ’।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন সোমবার সময়ের আলোকে বলেন, ‘যেখানে দালিলিক প্রমাণ আছে আসামিদের গ্রেফতারের সময় অস্ত্র ছিল না, সেখানে আসামিদের কক্সবাজার থেকে ধরে গাজীপুরে এনে পায়ে ঠেকিয়ে গুলি করা মারাত্মক অপরাধ। এটা খুব স্পষ্ট, এর দায় পুলিশ এড়াতে পারবে না। এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয়।’ তিনি বলেন, ‘একজন আসামি যখন পুলিশ হেফাজতে থাকবে সেই আসামিকে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচার হওয়া উচিত।’

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, ডিবির কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ঘটনাটি ঘটে গত ৮ নভেম্বর রাত সোয়া ১টায়। তার আগে ৭ নভেম্বর দিনেদুপুরে কক্সবাজারের কলাতলীতে অবস্থিত ‘হায়পেরিয়ন সী ওয়েভ’ হোটেল থেকে একজন ও পাঁচজনকে কলাতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গাজীপুর ডিবি পুলিশ। ভুক্তভোগীদের একজনকে গ্রেফতারের দৃশ্য ওই হোটেলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের কপি সময়ের আলোর কাছে এসেছে।

গত ৭ নভেম্বর ডিবি পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহতদের কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হলেও টঙ্গী পশ্চিম থানায় পুলিশের করা একটি মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আসামি পলাশকে ঢাকার বিমানবন্দর যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে ৮ নভেম্বর রাত ১১টা ৫০ মিনিটে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় আরও বলা হয়, একই দিন রাত সোয়া ১টার দিকে আসামিদের ধরতে টঙ্গীর পশ্চিম থানা পুলিশের সহযোগিতায় ইজতেমা ময়দানে তুরাগ নদ তীরে অভিযানে নামে। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য আসামিরা পুলিশের ওপর হামলা করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ডিবি পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে অন্ধকারে দেখতে পায় তিনজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। পরে তাদের আহত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। আহতরা হলেন-  আমিনুল ইসলাম ওরফে স্বপন, নূর মোহাম্মদ ও ইসমাইল। তাদের মধ্যে ‘রহস্যজনক’ গুলিতে স্বপনের বাম পায়ের হাঁটুর নিচে, নূর মোহাম্মদের বাম পায়ের হাঁটুর নিচে ও ইসমাইলেরও বাম পায়ের হাঁটুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি, একটি ছোরা, একটি লোহার রড, একটি চায়নিজ কুড়াল ও সাত রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার দেখানো হয়েছে। গোলাগুলিতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। আহত পুলিশ সদস্য ও গ্রেফতার ব্যক্তিদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছেন।

এদিকে পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নাটকের বিষয়টি এলাকায় জানাজানির পর বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশ রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। যাদের গুলি করা হয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হয় কক্সবাজার থেকে। ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা আসামিদের গভীর রাতে গ্রেফতারের নামে ডিবি পুলিশের এমন নাটকীয় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হতভম্ব ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত : ভুক্তভোগীর আদালতে মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টঙ্গীর হাজীর মাজার বস্তি এলাকায় ডিবির পরিদর্শক ফরিদসহ কয়েকজন অবস্থান নেন। তখন স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা পুলিশ পরিচয় দেয়। এ সময় স্থানীরা পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তারা পরিচয়পত্র দেখাননি। এসব নিয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে র‌্যাব-১-এর সদস্যরা এলে ডিবির ওই কর্মকর্তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিলেও তাদের পরিচয়পত্র দেখাননি। এরপর টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ডিবির পরিদর্শকসহ সবাইকে শনাক্ত করে। স্থানীয়রা ভুল বোঝাবুঝির কারণে ডিবি পুলিশের কাছে ক্ষমা চান। বিষয়টি ঘটনাস্থলে মীমাংসা হলেও পরে স্থানীয়রা জানতে পারে পুলিশ বাদী হয়ে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের খবরে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ভয়ে গত ৬ নভেম্বর কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় একটি হোটেলে ওঠেন ছয়জন। গাজীপুরের ডিবি পুলিশের পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ হোসেন, এসআই পরিমল চন্দ্র দাসসহ একটি দল ৭ নভেম্বর দুপুরে ওই হোটেল থেকে পুলিশের মামলার আসামি পলাশকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমিনুল ইসলাম স্বপন, মো. বিল্লাল হোসেন, নুর মোহাম্মদ, মো. ইসমাইল, মো. মোমেনকে কলাতলী রোডের ঢাকা রেস্তোরাঁ কাবাব অ্যান্ড বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে গ্রেফতার করে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে লাবনী পয়েন্টের ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সের পাশে একটি হাইয়েস গাড়িতে (মাইক্রোবাস) তোলে। সেখানে চোখে কালো কাপড় বেঁধে চারজনকে হোটেল হাইপরিয়ন সী ওয়েভের ৯-এ ফ্ল্যাট থেকে কাপড় নিয়ে আসা হয় এবং হোটেলের বিল পরিশোধ করে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হয়।

ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গ্রেফতার ছয়জনকে পায়ের তলায় রড, বাঁশের চেলি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে নির্যাতন চালায়। ডিবি পুলিশের নির্যাতনের পর ক্লান্ত হয়ে আমিনুল ইসলাম স্বপন পানি খেতে চাইলে পানির বদলে তাকে প্রস্রাব খাওয়ান ডিবির কর্মকর্তারা। রাতভর নির্যাতনের পর ৮ নভেম্বর রাত সোয়া ১টায় কথিত অভিযানের নামে টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন ইজতেমা ময়দানে নিয়ে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’র নামে তিনজনকে বাম পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে।

সিসি ফুটেজে যা দেখা গেছে : 

গত ৬ নভেম্বর দুপুরে আমিনুল ইসলাম স্বপনসহ ছয়জন হাইপরিয়ন সী ওয়েভ হোটেলের সোফা রুমে বসা ছিলেন। তাদের কার্যক্রম শেষ করে হোটেলের ভেতর চলে যান। সেখান থেকে কিছু সময় পর সবাই বাইরে বেরিয়ে যান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, পরের দিন দুপুরে ডিবির পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ ও এসআই পরিমল চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন হোটেলের কাউন্টারের সামনে নিয়ে আসেন পলাশকে হ্যান্ডকাফ পরানো অবস্থায়। এরপর তাকে নিয়ে চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। তবে এক জেলা পুলিশ আরেক জেলায় অভিযান চালালে সংশ্লিষ্ট থানায় সিসি (অনুমতিপত্র) নিতে হয় কিন্তু ছয়জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে থানাকে কিছু জানানো হয়নি।

সোমবার কক্সবাজার সদর থানার অপারেশন পরিদর্শক শাকিল জানান, আমার জানা মতে, ৭ নভেম্বর গাজীপুরের ডিবি পুলিশ সংশ্লিষ্ট কাউকে জানায়নি। তিনি বলেন, ‘অভিযান চালানো হলে আগে লিখিতভাবে থানাকে জানাতে হয়। আমরা তা পাইনি।’

আদালতে মামলা ও কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’র বিষয়ে জানতে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-দক্ষিণ) মো. ইব্রাহীম সময়ের আলোকে বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। ঘটনাও জানা নেই।’




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close